আজই নারদ মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রী ধর্ণা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সে অভিযোগ যে মিথ্যে তা হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজই কলকাতা হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল নারদ মামলার শুনানি। আগামী ২৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানাল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।
এদিকে আগামী ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্টে নারদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি রয়েছে। সেটার প্রেক্ষিত অবশ্য আলাদা। মামলা এক হলেও। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় তা দেখে নিচে চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তারিখ পড়েছে ২৯ জুন। মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি মুলতুবি রাখা হচ্ছে বলে আজ জানিয়ে দিয়েছেন পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, মে মাসে নারদ মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী এক বিধায়ক এবং প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরই নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। তখন দফতরের বাইরে ভিড় বেড়ে যায়। এই ঘটনাকে ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপরই তাদের অভিযোগ, হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে চাপ তৈরি করে শাসকদল। সিবিআই আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই অভিযোগের ধুয়ো তুলে নারদ মামলাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে মামলায় পক্ষও করেছে তারা। কিন্তু হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করেনি। তাই তা চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তর শুনানি হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। আর তাই হাইকোর্টে পিছল নারদ মামলার শুনানি।