সোমবার নিষ্পত্তি হল না নারদাকাণ্ডের জামিন সংক্রান্ত মামলার। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সওয়াল-জবাব পর্বের পর সোমবারের মতো কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়ে গেল। আবারও শুনানি হবে আগামী বুধবার। তার ফলে আপাতত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হবে।
নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। দুই সদস্যের বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামিকাল (মঙ্গলবার) শুনানির জন্য নথিভুক্ত করার আর্জি জানানো হচ্ছে। তার জেরে বুধবার পর্যন্ত হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হোক। যদিও সেই আর্জির বিরোধিতা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেন, 'নিজেদের প্রথমসারির হিসেবে দাবি করা একটি তদন্তকারী সংস্থা এমন একটি মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক।'
মেহতার আর্জির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ মন্তব্য করে, শীঘ্রই বাংলায় একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে (আপাতত পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দুপুরের দিকে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’)। সেটির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি হবে। সেজন্য আগামী পাঁচ থেকে সাতদিন হয়তো বেঞ্চ বসতেও পারবে না। শেষপর্যন্ত অবশ্য বুধবারেই পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার শুনানিতে নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের বাইরের পুরো ঘটনা আবারও জানান মেহতা। তারইমধ্য়ে অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা কটাক্ষ করেন, যে তদন্তকারী সংস্থা ছ'বছর আগেরকার এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে, তারা আবার আইনের শাসন বলছে। পালটা মেহতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসে ঢুকে যাওয়ার ঘটনাই দেখাচ্ছে আইনের শাসনের অভাব।’