ইদানিং জাতীয় সড়কে যানজট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর তার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর এই যানজটের জেরে লম্বা লাইন পড়ে যায় জাতীয় সড়কে। জাতীয় সড়কে এইসব সমস্যা থেকে পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ডানকুনি থেকে কলকাতা আসার পথে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে এবার উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। তাই এই বিষয়টি নিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এনএইচআই) সঙ্গে বৈঠকে বসল রাজ্য সরকার। যা কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই বৈঠকে এনএইচআই–এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলির সংযোগস্থল থেকে ডানকুনি পর্যন্ত পথ পেরিয়ে দেখা যায়, একাধিক সাবওয়ে ও রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে সেতুর কাজ চলছে। আর সেই কাজ শেষ হতে আরও দু’মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে যানজটের একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে এই কাজের ফলে ডানকুনি থেকে কলকাতাগামী রাস্তা প্রায়ই বন্ধ থাকছে। তার জন্যই চাপ বাড়ছে রাস্তায়। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কে যানজটে আটকে থাকছে হাজার হাজার গাড়ি। এবার এটাকেই ঠিক করতে চাইছে রাজ্য সরকার বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার, এপার বাংলায় জাল নোট ছড়াতে আসার ছক বানচাল
এনএইচআই এবং রাজ্য সরকারের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপরই বৈঠক শেষে পুলিশ–প্রশাসনকে যতটা সম্ভব যানজট কমিয়ে পথে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, একাধিক পুলিশকর্তা, এনএইচআই অফিসাররা এবং পূর্ত দফতরের কর্তারা। উভয়পক্ষই সহযোগিতার ভিত্তিতে জাতীয় সড়ক থেকে যানজট মুক্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় সড়কের আশেপাশে যে কাজ চলছে তা কেন্দ্রীয় সরকার করছে। আবার রাজ্য সরকারের কিছু কাজও চলছে। তাই বৈঠক করে কোন পথে এগোনো হবে সেটা ঠিক করা হয়েছে।
এখানে সবথেকে বেশি সমস্যা দেখা দেয়, বর্ধমান থেকে কলকাতামুখী ৮৮ কিমি রাস্তায়। তার ফলে, প্রভাব পড়ছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর। যানজট ছড়িয়ে পড়ছে পালসিট থেকে সাঁতরাগাছি পর্যন্ত রাস্তায়। গাড়ি চলছে একেবারে সার্ভিস রোড ধরে। দুর্ভোগ দেখা যাচ্ছে, বিকেলের পর থেকেই। এটাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। রাস্তাতেই আটকে যাচ্ছে কলকাতামুখী সমস্ত গাড়িগুলি। তার জেরে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।