ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নওসাদ ও তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত জামিন দেয়নি। এর ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে ভাঙড়ের বিধায়ককে।
বুধবার সরকারি আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চায়, যাদের গ্রেফতার করেছেন হিংসার ঘটনায় প্রত্যেকের যোগ প্রমাণ করতে পারবেন তো? এদিন ২১ জানুয়ারির ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ ও নওসাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় পুলিশ।
এদিন নওসাদের জামিন সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্য সরকারি আইনজীবীকে কড়া প্রশ্ন করেন, তিনি বলেন, ৬৫ জন মামলাকারীর প্রত্যেকের ভূমিকা প্রমাণ করতে পারবেন না। সবাই যে গোলমালের সঙ্গে যুক্ত সেটা কী করে জানলেন। এমনও হতে পারে তখন কেউ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, বা ফুটপাথে দাঁড়িয়েছিলেন। ফুটপাথে তাঁর ভূমিকা কী? এদিন রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, নওসাদের উসকানির জেরেই হিংসা ছড়িয়েছে। পালটা নওসাদের আইনজীবী বলেন, তার কোনও প্রমাণ নেই। তখন নিজের ল্যাপটপে সেদিন নওসাদের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি বসাক। এর পর তিনি সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, এখানে পুলিশের ওপর হামলা করতে বলেছেন তার প্রমাণ কোথায়?
গত ২১ জানুয়ারি ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার ধর্মতলায় সমাবেশে আসছিলেন দলীয় কর্মীরা। তখন ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে তাদের গাড়ির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। পালটা হামলায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হাতিশালা। এর পর ধর্মতলায় পৌঁছন ISF সমর্থকরা। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনাস্থল থেকেই নওসাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।