পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ৭০% দেরিতে হাসপাতালে ভর্তির কারণে। বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।
রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ‘আমরা নিয়মিত কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু নিয়ে বিশ্লেষণ করছি। হাসপাতালে পৌঁছতে দেরির কারণে ৭০% কোভিড-মৃত্যু হচ্ছে।’
গত কয়েক মাসে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে, সেখানে রোগী ভর্তি নিতে আপত্তি জানানো হচ্ছে। কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে শয্যার অভাব বলা হচ্ছে, যার ফলে বেশ কিছু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
মুখ্য সচিবের দাবি, হাসপাতালে আদৌ শয্যার অভাব নেই। সরকারি হিসাবে রাজ্যের ৮৩টি কোভিড হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা ১১,৫৬০, যার মধ্যে ৬০ শতাংশই ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া সেফ হোম ধরলে শয্যাসংখ্যা ২৩,৫০০।
সচিবের মতে, ‘বিশেষ এক গোত্রের হাসপাতালের চাহিদা রয়েছে, যা এই অতিমারী পরিস্থিতিতে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমরা যা নিশ্চিত করতে পারি তা হল, সেরা মানের চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সংবলিত হাসপাতাল।’
রাজ্য সরকারের হিসেবে, বাংলায় কোভিড-মৃত্যুর হার প্রায় ২.২% কমেছে। যেখানে জাতীয় হিসেব ২.৭ শতাংশে দাঁড়িয়ে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মাত্র ১,১৪৪ জন কোভিড রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন এবং ১০৪৩ জন মাঝারি রকম ও ১৯৪৬ জন মৃদু উপসর্গে ভুগছেন।
এই কারণেই রাজীব সিনহা বলেছেন, ‘এর অর্থ, প্রতি ১০০ জন কোভিড রোগীর মধ্যে ২ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৭% অন্যান্য জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।’