আট মাসের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। এরপরেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ওই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। এই সমস্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তদন্ত কমিটির কাছে জানতে চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি কলকাতার এনআরএস হাসপাতালের। ওই শিশুর ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়নি বলেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রীতেশ বারুই নামে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল গত ৪ মার্চ। শ্বাসনালীতে কাগজের কৌটো আটকে যাওয়ায় তাকে প্রথমে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে প্রথমে জরুরি বিভাগে এবং পরে শিশু শল্য এবং ইএনটি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তার শ্বাস নালীতে কি আটকে রয়েছে তা জানার জন্য ল্যারিঙ্গোস্কোপি করা প্রয়োজন। এরপরেই শিশুটির ল্যারিঙ্গোস্কোপি করা হয়। কিন্তু, সেখানে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, এরপর ওই শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপি করানোর জন্য তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে শিশুর গলা থেকে কাগজের কাগজের কৌটো বাইরে বের করে আনেন । কিন্তু, ততক্ষণে শিশুর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে তাকে ভেন্টিলেশনে রেখেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জানায় তাদের পরিবার। এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকরা শিশুটির ল্যারিঙ্গোস্কোপি করার কোনও রিপোর্ট দেখাতে পারেননি। ফলে সেখানে শিশুর ল্যারিঙ্গোস্কোপি তো করানো হয়ইনি, তাকে বাঁচানোর নূন্যতম চেষ্টাও করেনি চিকিৎসকরা। এমনই অভিযোগ করেছিলেন শিশুর পরিবার। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এন আর এস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে চিকিৎসকদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়।