এবার দার্জিলিং পুরসভার তরফে একটা নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। সেখানে বলা হয়েছে দার্জিলিং পুরসভার আওতায় যে সমস্ত হোর্ডিং থাকবে সেখানে নেপালি ভাষায় লেখাটা বাধ্য়তামূলক। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে হোর্ডিংয়ে অন্য ভাষা থাকতেই পারে। কিন্তু তার সঙ্গেই নেপালি ভাষা থাকতেই হবে।
গত ৩১ অগস্ট ভানু ভবনে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানেই গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে এই নির্দেশিকার কথা জানানো হয়েছে। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
অনীত থাপা জিটিএ এলাকার মধ্যে নেপালি ভাষায় সাইনবোর্ড রাখার উপযোগিতা সম্পর্কে জানান। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সাইনবোর্ডে নেপালি ভাষায় সাইনবোর্ড না থাকলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
দার্জিলিং পুরসভা সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে এনিয়ে আলোচনা করে। দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি জানিয়েছেন, সমস্ত হোর্ডিং ও সাইনবোর্ডে নেপালি ভাষায় লিখতে হবে। অন্য ভাষা সাইিনবোর্ডে থাকতে পারে। কিন্তু সেই সাইনবোর্ড নেপালি ভাষা রাখতেই হবে। যদি এই নির্দেশ না মানা হয় তবে জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি কলেজের সোসিওলজির প্রফেসর রোশন তামাং জানিয়েছেন, এই নির্দেশিকা জারি করার মাধ্যমে পুরসভা সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে চাইছে। রোজকার কাজকর্মে নির্দিষ্ট ভাষার ব্যবহারকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মূলত যেটা বলা হচ্ছে দার্জিলিংয়ের সাংস্কৃতিক হেরিটেজকে রক্ষার কথা। আসলে অনেকের মতে, দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের অংশ হলেও প্রচুর মানুষ রয়েছে যাঁরা নেপালি ভাষায় কথা বলেন। সেকারণেই নেপালি ভাষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এই সাইনবোর্ড নেপালিতে লেখা হলেও তা পর্যটকদের পড়তে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ সেখানে হিন্দি ও ইংরাজি ভাষাতেও লেখা থাকতে পারে। যার জেরে পর্যটকদের বিশেষ সমস্যা হবে না। তাছাড়া দার্জিলিং একাধিক দোকান রয়েছে যেখানে ইংরেজিতেই সাইনবোর্ড থাকে। তার সঙ্গেই এবার লেখা থাকবে নেপালিতে। এতে যেমন দার্জিলিংয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করা সম্ভব হবে তেমনি তার সঙ্গে ইংরেজি বা হিন্দিতে লেখা থাকলে পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না।
প্রতি বছরই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যান। সাইনবোর্ড দেখেই তাঁরা দোকান চিহ্নিত করেন। তবে তাঁদেরও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।