কলকাতার গল্ফ গ্রিন থানা এলাকায় নিজের বাড়ির খাটের তলা থেকে মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে মৃতের ভাইপোকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, টাকা চেয়ে না পাওয়ায় পিসিকে খুন করেছে সে।
বুধবার গল্ফ গ্রিন থানার অদূরে রাজেন্দ্র প্রসাদ কলোনির বাড়ি থেকে নাফিসা খাতুন (৪০) নামে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। খাটের তলা থেকে রক্ত বইতে দেখে প্রতিবেশীদের ডাকেন মৃতার মা। তারাই মহিলাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। কাছেই একটি শপিং মলে কাজ করতেন নাফিসা। সকালে বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। বিকেলে মা বাড়ি ফিরে দেখেন খাটে পড়ে রয়েছে মেয়ের মোবাইল ফোন কিন্তু মেয়ের দেখা নেই। এর পর শপিং মলে মেয়ের খোঁজ নিতে যান তিনি। কিন্তু সেখানেও ছিলেন না নাফিসা। এর পর বাড়ি ফিরে খাটের তলা থেকে রক্ত বইতে দেখেন তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পৌঁছন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা। তরুণীর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু হয়। জেরা করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠদের। এতেই গভীর রাতে মেলে সাফল্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন ভাইপো সাবির আলি খুন করেছেন নাফিসাকে। এর পর সাবিরকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সাবির (৩৮) হরিদেবপুরের ঢালিপাড়ার বাসিন্দা। পিসির কাছে ১০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল সে। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন নাফিসা। বুধবার দুপুরে এই নিয়ে পিসি ও ভাইপোর মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তখন রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে আসেন নাফিসা। সেই ছুরি দিয়েই পালটা নাফিসাকে কোপ মারেন সাবির। নাফিসা আহত হয়ে পড়ে গেলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এর পর গলার নলি কেটে দেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে পালায়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে।