করোনার চিকিৎসায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন হাবরার তরুণী। করোনামুক্তির পর মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে প্রথম যে তিন জন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম। এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জেনে প্রাথমিকভাবে একটু চিন্তিত হলেও চিকিৎসরা মনোবল বাড়ানোয় ঘাবড়ে যাননি তিনি।
এদিন তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়েছি শুনে প্রথমে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি-র যে ডাক্তারবাবু আমার চিকিৎসা করেছেন তিনি আমার এত মনোবল বাড়িয়েছেন যে ঘাবড়ে যাইনি কখনো।’ তিনি জানান, ডাক্তারবাবু বলেন, ‘ঘাবড়ানোর কিছু হয়নি। তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। তোমার শরীরে প্রতিরোধশক্তি ভাল। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করলেই আর চিন্তা নেই।’
সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদেরও প্রশাংসা করেন তিনি। বলেন, ‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকরাও আমার খোঁজ নিয়েছেন। ফোনে আমার কাউন্সেলিং করেছেন। বলেছেন, একদম ঘাবড়াবেন না।’
এদিন দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের সমর্থন করেছেন হাবরার বাসিন্দা ওই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত। সবার নিজের বাড়িতে থাকা উচিত। বাইরের মানুষের সঙ্গে এখন মেলামেশা ঠিক নয়।’