২০২১–২২ অর্থবর্ষের বাজেট তথা ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করতে গিয়ে শুক্রবার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ‘আমাদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি চলছে চলবে।’ রাজ্যে পিছিয়ে পড়া জনজাতিদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রথমেই তাঁদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক ব্যয় বরাদ্দর কথা ঘোষণা করা হল এদিনের বাজেটে। আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন ভাষাভাষির ৮০০টি নতুন স্কুল নির্মাণ ও ২১০০ প্যারা টিচার নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা—
❒ তফশিলি জাতি, আদিবাসী ও দুঃস্থ মানুষদের জন্য ১০০টি নতুন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করবে সরকার। যে সমস্ত এলাকায় তফশিলি জাতি, আদিবাসী ও দুঃস্থ মানুষের সংখ্যা বেশি সেই সমস্ত অঞ্চলে আগামী তিন বছরে ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করা হবে। এর জন্য আগাম অর্থবর্ষে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
❒ অলচিকি ভাষার জন্য ৫০০টি নতুন স্কুল ও দেড় হাজার প্যারা টিচার নিয়োগ করা হবে। আগামী ৫ বছরে এই কাজ করা হবে। এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হল।
❒ নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরী, কুর্মালি ভাষার জন্য ১০০টি নতুন স্কুল করা হবে। এর জন্য ৩০০ প্যারা টিচার নিয়োগ করা হবে। এই বাবদ ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
❒ চা–বাগান এলাকায় আগামী ৫ বছরে ১০০টি সাদরি ভাষার বিদ্যালয় স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য ৩০০ জন প্যারা টিচার নিয়োগ করা হবে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
❒ রাজবংশী ভাষার ২০০টি বিদ্যালয়কে অনুমোদন দেবে এবং আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
❒ কিছু মাদ্রাসা স্কুল আছে যেগুলি সরকারি অনুমোদিত কিন্তু আর্থিক সাহায্য পায় না। সেগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ২০ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করা হবে। যত মাটির বাড়ি আছে আগে সেগুলি পাকা ও সংস্কার করা হবে। এর জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।