এবার কিছুটা হলেও আশার আলো রাজ্য়ের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার ক্ষেত্রে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার আসন বাড়ল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে। এক লাফে অন্তত ৭ হাজার আসন বেড়ে গেল। এর জেরে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের। এর আগে বাংলায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন ছিল ৩৭ হাজার। সেই আসন সংখ্য়াই এবার বেড়ে হল ৪৪ হাজার। তবে এতসব কিছুর পরেও একটা আশঙ্কা থেকেই গিয়েছে। এই যে এত পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন তার পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হবে?
শেষ পর্যন্ত কতজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া চাকরি পান সেটাও দেখার। তবে অন্তত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্য়া বৃদ্ধি পেলে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে পড়ুয়াদের। তাঁদের পড়াশোনার সুযোগ বাড়তে পারে।
শনিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই অনুষ্ঠানে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই আশার কথা শুনিয়েছেন।
তবে সবথেকে আশার কথা হল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়েই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আর যে বিষয়ের উপর আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা হল কম্পিউটার সায়েন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি। এদিকে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তরফে আসন বৃদ্ধি করতে চেয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছিল। আর সেই নিরিখেই এবার আসন সংখ্যা বৃ্দ্ধি করা হল। সব মিলিয়ে রাজ্যে ৫৬টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে এআই, মেশিন লার্নিং, সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সায়েন্স, ইন্টারনেট অফ থিংস চালু করার আবেদন জমা পড়ছিল। তার ভিত্তিতে এবার বিরাট উদ্য়োগ নেওয়া হল। এতে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন।
এদিকে রাজ্যের চাকরির বাজার এমনিতেই মন্দা। বহু মানুষ বেকারত্বের জ্বালা ভোগ করছেন। তার মাঝেই চাকরি ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কতজন চাকরি পাবেন তা নিয়ে সন্দেহটা থেকেই গিয়েছে। সর্বভারতীয় পরীক্ষাতেও নানা দুর্নীতির অভিযোগ।
তবে তার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা। এর ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে পড়ুয়াদের। অন্তত যাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পড়তে পারতেন না আসন সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকার কারণে তাঁদের সুবিধা হবে। অন্তত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সাধ পূরণ হবে তাঁদের।