এবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভাতেই এলাকাভিত্তিক করবিন্যাস চালু করা হবে। রাজ্য সরকারের তরফে দ্রুত এই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে খবর। মূলত এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্য়মে পুরসভার নিজস্ব আয় কিছুটা বাড়তে পারে। তবে পুজোর আগেই এই নতুন কর ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে এমনটা নয়। এই নয়া ব্যবস্থা চালু হতে অন্তত মাস ছয়েক সময় লাগতে পারে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পত্তির মালিকরা নিজেরাই তাঁদের করের হিসাব করতে পারবেন। সেই সঙ্গেই এই করের সবথেকে বড় সুবিধা হল যে এলাকায় যেমন সুযোগ সুবিধা তেমনই কর ঠিক করা হবে। সেক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক আলাদা আলাদা কর হতে পারে। কারোর কর বাড়তে পারে। কারোর কর কমতে পারে। ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলি এনিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে।
বর্তমানে অ্যানুয়াল রেটেবল ভ্যালু পদ্ধতিতে সম্পত্তিকর আদায় করা হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনও সম্পত্তি থেকে যে বার্ষিক ভাড়া পাওয়া যায় বা বছরে যে ভাড়া পাওয়া যেতে পারে তার থেকে ১০ শতাংশ মেরামতি খাতে ছাড় দিয়ে সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য নির্ধারন করা হয়।
সব মিলিয়ে এই পদ্ধতি বেশ জটিল। আর এই জটিল পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পত্তিকর নির্ধারন করতে গিয়ে নানা সময় অনিয়মও হয় বলে খবর। এদিকে কলকাতাতে রাজ্যের মধ্য়ে প্রথম এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এবার কলকাতার মতো রাজ্য়ের সমস্ত পুর এলাকাতেই ধাপে ধাপে এই নয়া কর সিস্টেম চালু করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত পুরসভাকে এনিয়ে রাজ্য পুর দফতরের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনেই পুরসভাগুলি এবার ব্যবস্থা নেবে।
তবে এই নয়া কর ব্যবস্থা পুরোপুরি না আসা পর্যন্ত সবটা বোঝা যাচ্ছে না এখনই।