উৎসবের মরশুমে আলিপুর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি আলপাকা। পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এই আলপাকাকে। সেটি স্থান পেয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এই বন্যপ্রাণীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিড়িয়াখানার এনক্লোজারে ছাড়া হয়েছে। এখন দক্ষিণ আমেরিকার এই আলপাকা উৎসবের মরশুমে দর্শকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: নন্দনকাননের একাধিক নতুন অতিথিরা এল আলিপুর চিড়িয়াখানায়, কবে দেখা যাবে?
জানা গিয়েছে, এই আলপাকাটিকে তিনদিন আগেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাণীটির প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেটিকে এনক্লোজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই প্রাণীটিকে রাখা হয় এনক্লোজারে। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, উট ও লামার প্রজাতির আলপাকা সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়। এই প্রাণীটিকে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। তবে তাদের সেই ছক বানচাল করেছিল বিএসএফ।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা পাচারকারীদের কাছ থেকে আলপাকাটিকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আলপাকাটিকে দর্শকদের জন্য এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, সাধারণত এই প্রাণীকে ভারতের চিড়িয়াখানায় বা ভারতে খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না ।এই প্রাণীটি দেখতে বেশ সুন্দর। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি নতুন জীবজন্তু চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। এই নতুন প্রাণীগুলির একটি হল দক্ষিণ আমেরিকার আলপাকা ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এই প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছিল। বনপুরের বিএসএফের তৎপরতায় পাচার হওয়ার আগে প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছিল। সাধারণত পেরুর আন্দিজের পাদদেশে এই প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। এর উল খুবই মূল্যবান। তিনজন পাচারকারী এটিকের বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। সেই সময়ই বিএসএফ জওয়ানরা দেখতে পেয়ে
পাচারকারীদের দিকে এগিয়ে যায় এবং পাচার রুখতে বিএসএফ শূন্যে গুলিও চালায় । তখন গুলির শব্দ পেয়ে পাচারকারীরা আলপাকাটিকে সীমান্তে ফেলে পালিয়ে যায়। যদিও পাচারকারীদের ধরতে পারেনি বিএসএফ। তবে ওই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। পরে সেটি তুলে দেওয়া হয় বন দফতরের কাছে। বন বিভাগের তরফে আলিপুর চিড়িয়াখানায় তুলে দেওয়া হয় প্রাণীটিকে।