রাজ্যে হরিণঘাটার মুরগির মাংসের চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় জোগান দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। জোগান বাড়াতে এবার মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিল সরকার। সেজন্য হরিণঘাটায় সরকারের নিজস্ব জমিতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন কারখানা। এই কারখানা তৈরি হয়ে অনেক কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি চাহিদা মতো মাংসের জোগান দেওয়াও সম্ভব হবে।
জানা যাচ্ছে, নদিয়ার হরিণঘাটায় ১৫ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে এই নতুন কারখানা। ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করে এই কারখানাটি তৈরি করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারখানার কাজ চলছে। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গোটা প্রসেসিং প্রক্রিয়াটি চলবে। আগামী পাঁচ বছর পর হরিণঘাটার মুরগির মাংসের চাহিদা কোথায় পৌঁছতে পারে, সে বিষয়ে অনুমান করেই নতুন কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বর্ষা আসার আগেই যাতে নতুন কারখানা তৈরির কাজ শেষ হয়, সেকথা মাথায় রেখেই কারখানার কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে ওয়েস্টবেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
উল্লেখ্য, খোলা বাজারে যেখানে মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা যাচ্ছে, সেখানে হরিণঘাটার মাংস কেজি প্রতি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজ্যে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের অধিনস্থ ওয়েস্টবেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আউটলেট রয়েছে ৬২০টি। থোলা বাজারের তুলনায় কম দাম হওয়ায় হরিণঘাটার মুরগির মাংসের চাহিদা বেশি হলেও জোগান নেই। পরিকাঠামোর অভাবেই জোগান সম্ভব হচ্ছে। তবে এবার এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার জানান, ‘আমরা নতুন কারখানা গড়ার কাজে হাত দিয়েছি। প্রতিদিন ৫০ টন মাংস প্রসেস করা যাবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কারখানা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’