শহরের মেট্রো মানচিত্রে নয়া মাইলফলক হতে চেলেছে নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশন। এই স্টেশনটি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হলেও ভবিষ্যতে তা কলকাতার কোনও স্টেশনের চেয়ে কম আকর্ষনীয় হবে না। কারণ, এই স্টেশনটি হতে চেলেছে মেট্রোর তিনটি রুটের সংযোগস্থল। তিনটি রুটের জন্য মোট ৬টি লাইন স্টেশনের বিভিন্ন তল থেকে বেরোবে।ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত এই মেট্রো পথের কাজে গতি এনেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
একাধিক তল বিশিষ্ট নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ স্টেশনের তিনদিক থেকে এসে মিশবে তিনটি পৃথক রুট। তার মধ্যে থেকে প্রথমটি বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া, দ্বিতীয়টি দক্ষিণেশ্বর-নিউ গড়িয়া ও তৃতীয়টি বারুইপুর-নিউ গড়িয়া।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির স্তরের ২৫ ফুট নীচ থেকে মোট তিনতলা বিশিষ্ট স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। এবার মাটির সব থেকে নীচের (আন্ডারগ্রাউন্ড) তলায় তৈরি করা হবে গাড়ি পার্কিং ও বুকিং অফিস। এরপর মাটির স্তর বরাবর অর্থাৎ গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে চারটি লাইন বেরোবে। তার মধ্যে দু’টি লাইন যাবে বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়ার ও বাকি দু’টি লাইন হবে দক্ষিণেশ্বরমুখী স্টেশনের জন্য। তার উপরের তলা অর্থাৎ দোতলায় মেট্রো আধিকারিকের দফতর তৈরি করা হবে। আর সর্বশেষ তলা অর্থাৎ তিনতলা থেকে নিউ গড়িয়া-বারুইপুর লাইন বেরোবে। মেট্রো সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই স্টেশন থেকে লাইন নির্মাণের জন্য এখনও রেল বোর্ডের ছাড়পত্র মেলেনি। তবে বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া মাঝে লাইন পাতার কাজে গতি এসেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই রুটে রুবি পর্যন্ত মেট্রো আগামী বছর থেকে শুরু হতে পারে।
অন্যদিকে, নিউ গড়িয়া স্টেশনের বিমানবন্দর রুটের ইয়ার্ড বা ডিপো আগের ডিপোর তুলনায় কয়েকগুণ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে রুবি পর্যন্ত লাইন পাতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই রুটেই ইএম বাইপাসের ধারে খালের উপর দিয়ে স্তম্ভ তৈরি করার কাজে গতি এসেছে। এপ্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বললেন, ‘ওই অংশে স্তম্ভ নির্মাণের জন্য খালের উপরের পুরনো সেতু ভেঙে দু’পাশে নতুন সেতু তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। সেই কাজে সময় লাগায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে, চলতি বছরের মধ্যে মেট্রো পথের সংযুক্তিকরণ সম্পূর্ণ হবে বলেই আশা করছি।’