গোটা রাজ্যজুড়েই স্কুলবাস ও পুলকার নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। তবে এবার গোটা বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে সরকার। এবার রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত স্কুলবাস ও পুলকারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল। এই নির্দেশিকা মেনে স্কুলবাস ও পুলকার চালাতে হবে। কী আছে সেই নয়া নির্দেশিকায়?
এই নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে পুলকারগুলিকে হলুদ ও নীল রঙ দিয়ে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজ থাকতে হবে। প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য সিট বেল্টের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে বাইরে থেকে যাতে পড়ুয়াদের দেখা যায় তার জন্য স্বচ্ছ কাঁচ রাখতে হবে। কালো কাঁচ ব্যবহার করা যাবে না। পড়ুয়াদের জন্য গাড়িতে পর্যাপ্ত আলো, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাক্স, ব্যাগ রাখার মতো জায়গা থাকতে হবে।
তবে স্কুলের পুলকার নিয়ে নানা অভিযোগ থাকে অভিভাবকদের মধ্যে। দেখা যায় একেবারে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের। কতজন পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে তার কোনও হিসাব নেই। এমনকী গাড়ির পেছন দিকে রীতিমতো গাদাগাদি করে পুরে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। প্রচন্ড গরমে এক জনের কোলে অপরজন বসে থাকে। সুরক্ষার কোথাও কোনও ব্যবস্থা নেই। একেবারে নড়বড়ে ম্যাজিক গাড়িও ব্যবহার করা হয় পুলকার হিসাবে। তবে পরিবহণ দফতরের তরফে বলা হয়েছে গাড়ি চালকদের নম্বর যাতে অভিভাবকদের কাছে থাকে সেটা দেখতে হবে। পুলিশের সঙ্গেও প্রয়োজনে যোগাযোগ রাখতে হবে।
তবে এবার রাজ্য পরিবহণ দফতর জানিয়েছে স্কুল বাসগুলিতে পড়ুয়াদে সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। বাসগুলিতে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্য়াকিং ডিভাইস বসাতে হবে। অর্থাৎ বাসটি কোন রাস্তা ধরে যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে। সেই সঙ্গে সকলে দেখতে পান এমন জায়গায় স্কুল বাস কথাটা লিখতে হবে। সেই সঙ্গে বাসের মধ্য়ে ও বাইরে আপৎকালীন কিছু নম্বর লিখে রাখতে হবে। বাসগুলি রাস্তায় বের হওয়ার পক্ষে ফিট কি না সেটা দেখতে হবে।
তবে অভিভাবকদের একাংশের দাবি, স্কুলবাসে তবু কিছু নিয়ম মানা হয়। কিন্তু পুলকার অনেক নিয়মকেই মানে না। এমনকী সেখানে কার্যত সিন্ডিকেটরাজ চলে। কোনও অভিভাবক পুলকার নিয়ে অভিযোগ করলে তার সন্তানকে পরের দিন আদৌ সেই গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকে। সেকারণে সব বুঝেও মুখ বুজে সহ্য করেন অভিভাবকরা। ভাড়া বাড়তেই থাকে ক্রমশ, কিন্তু পড়ুয়াদের স্বাচ্ছন্দ্যের কোনও ব্যবস্থা নেই।