শীতকাল নামটার সঙ্গে একই বন্ধনীতে যে শব্দটি উচ্চারিত হয় সেটা আর কিছু নয়, সেটা হল কমলালেবু। আর কমলালেবু মানেই বাঙালির মনে আসে দার্জিলিংয়ের কমলা। তবে বাজারে ইদানিং নাগপুরের কমলার বেশ দাপট। তবে ক্রেতারা অবশ্য় আজও বাজারে গিয়ে খোঁজেন দার্জিলিংয়ের কমলাকে। দার্জিলিংয়ের কমলালেবু কবে আসবে তা নিয়ে অনেকেই হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন।
কাশ্মীরের আপেল আর দার্জিলিংয়ের কমলা। শীতের রোদে বসে কমলালেবু ছাড়িয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। আর দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর স্বাদই আলাদা। সেই দার্জিলিংয়ের কমলালেবু নিয়ে এবার আশার কথা শোনা যাচ্ছে।
এবার অবশ্য় সেই কমলালেবু নিয়ে আশার কথা শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই দার্জিলিং কমলার একটা বড় শত্রু ছিল পোকার উৎপাত। প্রতিবার দেখা যেত কমলা পুরোদমে হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে যেত। এর জেরে সমস্য়া হত। তবে এবার সেই সমস্যা অনেকটাই কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ফের স্বমহিমায় ফিরছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু।
কলকাতায় শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভালের। সেখানে অ্যাক্টের আহ্বায়ক রাজ বসু এনিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গোটা দার্জিলিং এলাকাতেই কমলালেবু গাছে এক ধরনের পোকার উপদ্রব হয়। তার প্রভাবে কমলালেবুগুলি বড় হওয়ার আগেই গাছ থেকে খসে পড়ছিল। পোকার হাত থেকে কমলাকে রক্ষা করতে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চলেছে। এতদিনে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। আমরা আশা করছি এবার ফের স্বমহিমায় ফিরছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু।
বহু পর্যটক কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য় সিটংয়ে যান। তবে কেবলমাত্র সিটংয়ে নয়, দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকাতেই কমলার বাগান রয়েছে। আর এবার হিমালয়ান অরেঞ্জ ট্যুরিজম ফেস্টিভালে অংশ নিচ্ছে ভারতের পাশাপাশি নেপাল ভুটানও। ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার সিটি সেন্টারে হবে এই অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় রুরাল ট্য়ুরিজমকেও তুলে ধরা হবে।
ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, অ্য়াক্ট নামে সংস্থার উদ্যোগে হচ্ছে এই অরেঞ্জ ট্যুরিজম। মূলত এই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত বিষয়কে তুলে ধরা হচ্ছে তার মধ্য়ে অন্যতম হল হোমস্টে, এগ্রি ট্যুরিজম, রুরাল ট্যুরিজম, হিমালয়ান রিজিয়নের বিভিন্ন হস্তশিল্পকে তুলে ধরা হচ্ছে। ভারত, নেপাল, ভুটান থেকেও আসছেন শিল্পীরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা রিজিয়ন, নর্থইস্টার্ন রিজিয়ন, হিমাচল প্রদেশ রিজিয়ন থেকেও আসছেন প্রতিনিধিরা।