ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকা। তারপর থেকেই কার্যত পেঁয়াজের খোসার মতোই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত বান্ডিল নোট জড়ো হয়েছিল অর্পিতার ফ্ল্য়াটে? কীভাবে আসত এই টাকা? সূত্রের খবর, এবার এনিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য় এসেছে ইডির কাছে।
পুলিশ লেখা গাড়িতে চাপিয়েই জেলা থেকে টাকা আসত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সেই গাড়িতে চাপিয়েই আনা হত কলকাতায়। কিন্তু কোথাও চেকিং হত না কেন? সূত্রের খবর সমস্ত নাকা চেকিং, টোল প্লাজা যাতে নির্বিঘ্নে পেরিয়ে যায় তার দায়িত্ব নিতেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ কর্মী। কার্যত একেবারে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা। আর সেই পুলিশ কর্মীই এবার ইডির নজরে বলে একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ইডি জেনেছে শুধু নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছুর টাকা যুক্ত রয়েছে। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তকারীদের কাছে মুখ খুলতে শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী জেলাস্তরে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের একাধিক নেতানেত্রীও এই কালেকশনে সক্রিয় ভূমিকা নিতেন বলে অভিযোগ।
সেই গোটা নেটওয়ার্কটি ক্রমশ সামনে আসতে শুরু করেছে। আর সব ক্ষেত্রে ওই পুলিশকর্মী একেবারে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ। নাকতলা হয়ে বেলঘড়িয়া ও হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে ওই টাকা চালান হয়ে যেত বলে অভিযোগ। এনিয়ে একাধিক ফোনকলও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।