বালি, কয়লা, গরু, চাকরি…বিরোধীরা বার বারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে সমস্ত অভিযোগ এনেছে তার মধ্য়ে এগুলি অন্যতম। তবে এবার বালি চুরি রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। তবে এর আগেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে বার বার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার মুখ্য়সচিব সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী বালি চুরি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন নবান্ন থেকেই। তিনি বলেছিলেন, কয়েকজন কর্মী যারা সরকারকে ভালোবাসে না। পুলিশের কিছু লোক টাকা খেয়ে বালি চুরি, কয়লা চুরি সিমেন্ট চুরি করছে। তারপর বলা হচ্ছে তৃণমূল চুরি করছে। কিন্তু চুরি করছে সিআইএসএফ ও পুলিশ।
আপাতত ঠিক করা হয়েছে বালি তোলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম রাখতে হবে। বড় নদীর ক্ষেত্রে মাইনিং কমিশনের মাধ্যমে টেন্ডার ডাকা হবে। সেই টেন্ডার যারা পাবে তারাই একমাত্র বালি তুলতে পারবে। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হবে।
কিন্ত এখানেই প্রশ্ন স্থানীয় স্তরে কতজন এই টেন্ডারকে মান্যতা দেবেন? কারণ এখনও বালির ঘাটে নানা রকম ব্যবস্থা থাকে। আবার তার ফাঁক গলে দিনের পর দিন অবৈধ কারবারও চলে।
আপাতত ঠিক করা হয়েছে দামোদর, অজয় নদীর মতো বড় নদী থেকে বালি চুরির ক্ষেত্রে মাইনিং কমিশনের মাধ্যমে টেন্ডার ডাকা হবে। ছোট নদীর ক্ষেত্রে কীভাবে বালি তোলা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
এর আগে গত জুন মাসেও মমতা একের পর এক তোপ দেগেছিলেন। সেবার তিনি বলেছিলেন, ‘অফিসাররা ভাগ দিচ্ছে বিজেপিকে। বাংলা থেকে মোটা টাকা খাচ্ছে বিজেপি। গরু কয়লা, পাথর, বালি সবথেকে বেশি খায় বিজেপি। টাকা যায় পুলিশের মাধ্য়মে। ওভারলোডিং ট্রাক থেকে যায়। আমাদের কিছু লোক আছে…যাতে ইডি সিবিআই না ধরে।’
তিনি জানিয়ে দেন, টাকা তোলার মাস্টার চাই না, কাজ করলেই তবে টিকিট মিলবে। আমি জনসেবক চাই। যারা করবেন তারা থাকুন। না হলে আউট…তা তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন…
সেবার তাঁর নিশানায় ছিল বিজেপি। তিনি বলেছিলেন, গরু, কয়লা, পাথর সবচেয়ে বেশি টাকা খায় বিজেপি। অফিসারদের কাছ থেকে মোটা টাকা তুলছে বিজেপি। গরু, কয়লা, বালি পাথর সবথেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, ওভারলোডিং ট্রাক, পুলিশের হাত দিয়ে টাকা যায় বিজেপির কাছে।