আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারদের গণকনভেনশন। বক্তব্য রাখলেন ৩৬জন। এরপর মৌন মিছিলে বের হলেন চিকিৎসকরা। কয়েকজন অভিনেতা, অভিনেত্রীও ছিলেন মৌন মিছিলে।
নাগরিক সমাজকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। কেবলমাত্র জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে এই আন্দোলন নয়। গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে আমরা ছড়িয়ে যাব। জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গেই ৩০ অক্টোবর ফের তারা সিজিও অভিযানের ডাক দিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
কিন্তু শনিবার যখন জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি করে মিটিং করলেন তখন দেখা গেল সেই ডাক্তারদের অপর অংশ প্রেসমিট করলেন। সেখানে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাঁরা। তারা মূলত শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলেই অপর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। নতুন হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের এই নয়া সংগঠন আন্দোলনের পেছনে বিপুল ফান্ডিং নিয়ে প্রশ্ন তুলল। সেই সংগঠনের নাম জুনিয়র ডাক্তার অ্য়াসোসিয়েশন। অভয়া দিদির নামে ৪ কোটি ৭৫ লাখ তোলা হল। এটা কেন? অভয়া দিদির নামে যারা টাকা তুলছেন তারা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়? প্রশ্ন নয়া সংগঠনের।
কী এমন হল যে আন্দোলনের জন্য ৫ কোটি টাকা তুলতে হল? আমাদেরও অনেক আন্দোলন হয়েছে। আমাদের তো এত টাকা তুলতে হয় না? আক্রমণ করলেন এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা তার উত্তর দিয়েছেন। এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, সাধারণ মানুষ তাঁদের আয়ের টাকা আমাদের দিয়েছেন। তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরে এই যে এত দুর্নীতি তার হিসাব দিতে পারবেন তো?
এদিকে চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। কয়েকজন ছাত্র একটা সংগঠন তৈরি করেছে। সেই সঙ্গেই সভায় তিনি বলেন, মানুষের এবার একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। মানুষকেই এবার ঠিক করতে হবে তাঁরা প্রতিবাদ ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন না থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে থাকবেন। জানিয়েছেন কিঞ্জল নন্দ।
তিনি বলেন, আরজি করে আর একটা থ্রেট কালচারের জন্ম হচ্ছে। কিন্তু সত্যি তেমন হলে যে অ্য়াসোসিয়েশনের কথা শুনতে পাচ্ছি তারা যে কথাবার্তা বলার সুযোগ পাচ্ছে সেটা বলারও সুযোগ পেত না।
অনিকেত মাহাতো বলেন, আমরা জানতে চাই একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচাতে কেন সরকার এত উদগ্রীব? এই ঘটনার উদ্দেশ্য কী তা আমরা জানতে চাই। রাজ্য সরকার একটা থ্রেট কালচারের পক্ষ নিতে চাইছে।