নানা কারণে জেলায় জেলায় একাধিক সরকার পোষিত স্কুলের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সব আছে স্কুলে শুধু পড়ুয়ার দেখা নেই। এবার সেই স্কুলগুলি নিয়ে নড়েচড়ে বসল সরকার। রাজ্য়ের বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলি খোলার ব্যাপারে এবার নতুন নীতি নিয়ে আসছে সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এমনটাই জানালেন বিধানসভায়।
রাজ্যের বিভিন্ন বন্ধ স্কুল প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সার্ভে করছি। কী কারণে স্কুল বন্ধ হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর মতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্র সংখ্যার অপ্রতুলতার কারণে স্কুল বন্ধ হচ্ছে।
তবে বাস্তব চিত্রটা অনেকের কাছেই উদ্বেগের। অনেকেই চাইছেন বেসরকারি স্কুলে তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করতে। একটু সামর্থ্য থাকলেই অভিভাবকরা সন্তানদের ভর্তি করে দিচ্ছেন বেসরকারি স্কুলে। আর বিশেষত সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বহু ক্ষেত্রে হু হু করে কমছে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা। স্কুল বিল্ডিং, শিক্ষক, পরিকাঠামো সবই রয়েছে, শুধু ছাত্রছাত্রীর দেখা নেই। এবার তা নিয়ে জেলাশাসকদের কাছ থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সেই রিপোর্ট সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আসবে। এরপর তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে। এরপরই এনিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন সব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও সরকারি স্কুলের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন অভিভাবকরা? তবে কি সরকারি স্কুলে শিক্ষার মান দ্রুত নামছে? তার জেরেই সেখানে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না অভিভাবকরা?
এদিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কাছ থেকে সেব্যাপারে তালিকা চাওয়া হয়েছে।