রাজ্যের সকল সরকারি এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে নয়া নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিটি শিক্ষককে ডায়েরি রাখতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। এই ডায়েরির ফর্ম্যাটও প্রকাশ করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। টাইমটেবিল অনুযায়ী শিক্ষকরা যাতে নিজেদের সবকটি ক্লাসে উপস্থিত থাকেন এবং পড়ুয়াদের পড়ান, তা নিয়েও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। বোর্ডের প্রকাশিত ফর্ম্যাট অনুযায়ী, শিক্ষকের ডায়েরিতে রোজকার ক্লাসের যাবতীয় তথ্য তুলে রাখতে হবে।
জারি করা নির্দেশিকায় পড়ুয়াদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্তরে রাখার কথা বলা হয়েছে। ডায়েরিতে রোজকার ক্লাসের রেকর্ড, কোথায় কোন পড়ুয়া পিছিয়ে রয়েছে বা কীভাবে তারা এগিয়ে চলেছে, পড়ানোর পদ্ধতি, শিক্ষা প্রদানের পরিকল্পনা, কত নম্বর অধ্যায়ের কতটুকু পড়ানো হয়েছে, এই সবই লিখে রাখতে হবে শিক্ষককে। এই ডায়েরি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে সই করাতে হবে। সার্কুলারের সঙ্গে একটি ডায়েরির নমুনা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্কুলকে। এদিকে নোটিশ অনুযায়ী, শিক্ষকের ডায়ের সই করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে সেই সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে বোর্ডকে।
জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনা অতিমারির প্রাক্কালেই এই ডায়েরি রাখার নিয়ম চালু করার প্রস্তাব করেছিল। তবে করোনার জেরে স্কুল বন্ধ হওয়ায় সেই পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, 'বিস্তারিত এবং ধারাবাহিক ভাবে শিক্ষার মূল্যায়ণ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হতে চলেছে এই ডায়েরি।' তাঁর মতে এই পদ্ধতিতে দুর্বল পড়ুয়াদের আৎও বেশি করে খেয়াল রাখতে পারবেন শিক্ষকরা।