আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। গোটা বাংলা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশজুড়ে। কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। এদিকে এই যে হাজার হাজার মানুষ বেরিয়ে এসেছিলেন রাস্তায় তার প্রভাব কি পড়ল ভোট বাক্সে? এমনকী সেই আন্দোলনের পেছনে বামেদের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অনেকের দাবি। আর ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল একাধিক কেন্দ্রে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে সিপিএমের।
কার্যত শূন্য পেয়েছে সিপিএম। আর সেই শূন্য সিপিএমকে নিয়ে গান বেঁধেছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তিনি এক্স হ্যান্ডেল এনিয়ে পোস্ট করেছেন।
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল ৬টা আসনের মধ্যে ৬টাতেই জিতেছে। এটা একটা বাংলার মানুষের জয়। মা মাটি মানুষের জয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নের জয়। বিজেপি হেরেছে। আমি বলছি সিপিএমের কথা। আরজি করের কথা। নিন্দনীয় ঘটনা। সিপিএম গ্রেফতার ইত্যাদি তৃণমূল করছে। ইচ্ছাকৃতভাবে একের পর এক কুৎসা মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী হল! সিপিএম বরং গান গাক। অরিজিতেরটা। আর কবে আর কবে, সিপিএম শূন্য থেকে এক হবে। এত কিছু করার পরে সিতাইতে দেড় শতাংশ, মাদারিহাটে ২.৩ শতাংশ, মেদিনীপুরে ৫.৫, নৈহাটিতে ৬, তালডাংরায় ১১.৬ আর হাড়োয়াতে ১৩ শতাংশ। ওরা কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিয়েছে না, ওদের প্রথম পদটা হওয়া দরকার রাজ্য সম্পাদকের পোস্ট। মহম্মদ সেলিম…দলটাকে তো সাইনবোর্ড থেকে ভিজিটিং কার্ড করে দিলেন’…এরপর ফের গান গেয়েছেন কুণাল।
তবে এই পোস্টের জবাবে সবাই যে খুব তারিফ করছেন এমনটা নয়। অনেকেই নানা কটাক্ষ করা শুরু করেছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, যেভাবে রিগিং করে ভোট করান সেখানে এই প্রশ্ন করুন নিজেকে আর কত আর কত আর কত…
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বললেন, ‘সিপিএম আর বিজেপি মিলে ১৫০ গ্রাম ভোট পেয়েছে।’
তবে শুধু তৃণমূল নেতারা নন, বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা লিখেছেন, ‘কলকাতা অফিস থেকে বিজেপি গোটা বাংলার জন্য সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ডাক দিয়েছে। এদিকে বিজেপি অন্দরে এত বিভাজন নিয়ে দলের নেতারা একেবারে চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। দল বিধায়কদের কোণঠাসা করে দিচ্ছে আর এমপিদের অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব আর দায়িত্ব দিচ্ছে। টাকার জোরে ভোটে জেতার স্বপ্ন দেখছে। এত রাজনৈতিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও, ইস্যুর কমতি না থাকা সত্ত্বেও সেই ওরা ধর্মের ভিত্তিতে জেতার বিষয়টি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।’