তবে কি তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়? ফেসবুক পোস্টের পর এবার তাঁর কলার টিউন ঘিরে শুরু হল জল্পনা। সম্প্রতি অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া ‘আচ্ছা চলতা হুঁ, দুয়ায়োঁ মে ইয়াদ রাখনা’ গানটি কলার টিউন করেছেন শুভ্রাংশ। আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় যাচ্ছেন শুভ্রাংশু।
গত শনিবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন শুভ্রাংশু। তাতে লেখেন, ‘জনগণের সমর্থনে জিতে আসা সরকারের সমালোচনা করার আগে আত্মসমালোচনা করা বেশি প্রয়োজন।’ সে নিয়ে মুখ খোলেননি শুভ্রাংশু বা তাঁর বাবা মুকুল রায়। তার পর শুভ্রাংশুর নতুন কলার টিউনে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে তবে বিজেপি ছাড়ার আলাপ গাইতে শুরু করেছেন মুকুলপুত্র।
২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বীজপুরের বিধায়ক ছিলেন মুকুল। বাবা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও তৃণমূলেই ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনে বাবা মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়লাভ করলেও বীজপুর থেকে জেতা হয়নি শুভ্রাংশুর।
যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, বাংলার রাজনীতিতে শুভ্রাংশু রায় যে পরিবারবাদের আদর্শ উদাহরণ একথা একবাক্যে স্বীকার করেন যে কেউ। পিতৃপরিচয় ছাড়া রাজনীতিবিদ হিসাবে না আছে তাঁর জনমোহিনী ক্ষমতা, না তিনি সুবক্তা হিসাবে পরিচিত। ফলে শুভ্রাংশুর রাজনীতির বৃত্ত পুরোপুরি মুকুল কেন্দ্রিক। ছেলের হাবভাব দেখে তাই অনেকের অনুমান নিজের তৃণমূলে ফেরার রাস্তা পাকা করছেন মুকুল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরে মুকুলের মৌনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তিনি বিজেপি ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয় বাজারে। তখন একটি বিবৃতি দিয়ে কাজ সেরেছেন তিনি। তার পর থেকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে দেখা য়ায়নি তাঁকে। এমনকী সেই অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যে কোনও বক্তব্য রাখেননি তিনি। তার ওপরে শুভ্রাংশু পোস্ট নিয়ে তাঁর নিরবতা মুকুলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করছে।