পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতরের অন্দরে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগের ক্ষেত্রেও ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তবে সেই ধারাবাহিকতার পথ ধরে যদি মার্কশিটও জাল করা হয় তাহলে বিরাট বিপদ! আর সেই বিপদ রুখতে এবার নয়া সিস্টেম।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটও জাল হয়ে যেতে পারে। সেকারণে এবার উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট যাতে জাল না হয়ে যায় সেটা রুখতে এবার নয়া ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে খবর। মূলত নোট যাতে জাল না হতে পারে সেজন্য যে সিস্টেম রয়েছে সেটাই এবার থাকবে উচ্চমাধ্য়মিকের মার্কশিটে। এবার উচ্চমাধ্য়মিকের মার্কশিটেও থাকছে ইউভি সিকিউরিটি থ্রেট কোড। বর্তমানে এই সিস্টেম চালু রয়েছে ভারতীয় মুদ্রায়। এবার সেই একই সুরক্ষা সিস্টেম চালু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে।
গত বছর থেকে উচ্চমাধ্য়মিকের মার্কশিটে কিউআর কোড যুক্ত করা রয়েছে। তবে এবার আরও কঠোরতম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। কেউ যাতে কোনওভাবেই এই মার্কশিট জাল করতে না পারে সেটা দেখা হবে।
কেউ যদি কোনওভাবে এই মার্কশিট নকল করে কোথাও দেখাতে যায় তবে ধরা পড়ে যাবে। যেভাবে জাল নোট ধরা পড়ে যায়। নির্দিষ্ট কোডের মাধ্য়মে জানা যাবে সেই মার্কশিটটা জাল নাকি আসল।
এদিকে কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নয়, মাধ্য়মিকের মার্কশিটেও এই ধরনের সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে যদি কোনও স্কুলের মনে হয় যে এই মার্কশিটটি জাল তাহলে তৎক্ষনাৎ সেই স্কুলের তরফে ওপরমহলে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।
এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে নির্দিষ্ট কোড থাকবে। সেই কোডের মাধ্য়মেই জানা যাবে সেই মার্কশিটটা আদৌ জাল কি না। অর্থাৎ আসল মার্কশিটে সেই কোড থাকবে। আর অন্য় কেউ এই কোড নিজের মতো করে তৈরি করতে পারবে না। কোড দেখেই বোঝা যাবে সেই মার্কশিটটি আসল নাকি জাল।
এদিকে মার্কশিট জাল করে নানা ধরনের অবৈধ কাজকর্ম করা যায়। সেকারণে গোড়াতেই সেই প্রচেষ্টা আটকে দিতে চাইছে সরকার। কারণ কেউ যদি জাল মার্কশিট নিয়ে কোথাও ভর্তি হয়ে যান তবে পরবর্তীতেও তিনি সেই জাল মার্কশিটের মাধ্য়মে উচ্চশিক্ষার একাধিক সিঁড়িতে উঠে যেতে পারবেন। সেকারণেই এবার আগাম সতর্কতা।
এদিকে গতবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন এক পড়ুয়া। ওই মার্কশিটে একাধিক বিষয়ের নম্বরকে ওলটপালট করে দেওয়া হয়েছিল। এবার থেকে তা আর সম্ভব নয়।