যাত্রী সাথী অ্যাপকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোন বাস কোথায় রয়েছে সেটাও জানা যাবে এই যাত্রীসাথী অ্যাপের মাধ্যমে। আপাতত সরকারি বাসের ১২টি রুটকে এই অ্যাপের আওতায় আনা হচ্ছে।
ট্রেনের ক্ষেত্রে অনেকেই একটা বিশেষ অ্যাপ দেখে বোঝার চেষ্টা করেন ট্রেনটি ঠিক কোথায় রয়েছে? এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি অনেকটাই কমে। তবে এবার রাজ্যের বাসগুলির ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা মিলবে অ্যাপে।
সরকারি যে ১২টি রুটকে অ্যাপের আওতায় আনা হয়েছে সেই সরকারি বাসের ভাড়াও অ্যাপের মাধ্য়মে কাটতে পারবেন যাত্রীরা। তবে শুধু সরকারি বাস নয়, বেসরকারি বাসকেও এই অ্যাপের আওতায় আনার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ব্যবস্থার মাধ্য়মে কী সুবিধা হবে?
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনও যাত্রীকে আর হাপিত্যেশ করে বার বার রাস্তার দিকে তাকাতে হবে না। তিনি জানতে পারবেন বাসটির অবস্থান ঠিক কোথায়। সেই অনুসারে তিনি বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে পারবেন। তবে শুধু যাত্রীরা নন, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বাসের মালিকও জানতে পারবেন বাসটি ঠিক কোথায় রয়েছে। বাসটির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন বাসের মালিকও। এমনকী বাসটি ওভারটেক করছে কি না, বাসটি বেপরোয়াভাবে চালানো হচ্ছে কি না সেটাও আঁচ করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের ময়দান টেন্টে এনিয়ে বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে এনিয়ে জানানো হয়েছে। ১২টি রুটের বাসের তালিকা দেওয়ার জন্যও তাদের বলা হয়েছে।
যে রুটগুলির বাসের তালিকা চাওয়া হয়েছে সেগুলি হল, এসি৩৯, এসি ৫০এ, এসি-৩৭ এ, ভি-১, এস ১০, এস ২৩-এ, এসি-২, এসি-৪৩, এসি-৪০,এসি-২৩এ, ইবি-১২, এস-৬৬ রুটে যে বাসগুলি চলে তার তালিকা চাওয়া হয়েছে।
অ্যাপের মাধ্যমে কী বেসরকারি বাসের ভাড়া কাটা যাবে?
এখানে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। কারণ বর্তমানে বেসরকারি বাসের যে ভাড়া নেওয়া হয় সেটা সরকারি নির্দেশ অনুসারে নয়। মূলত অতিমারির সময় বেসরকারি বাসগুলি তাদের মতো করে বাসের ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছিল। অতিমারি চলে গিয়েছে। কিন্তু ভাড়া কমেনি। সেক্ষেত্রে এবার যদি বেসরকারি বাসে অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়া কাটার ব্যবস্থা করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। কারণ সেখানে তো সরকার নির্ধারিত ভাড়াই কাটতে হবে। সেক্ষেত্রে বেসরকারি বাস কম ভাড়া পাবে। সেক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তবে অ্যাপের মাধ্যমে বেসরকারি বাস কোথায় রয়েছে সেই অবস্থান জানার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাসের মালিকরা।