করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এক প্রসূতিকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঊঠল NRS হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে বাড়িতে প্রসব হয় তাঁর। বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকে। ঘটনার কথা স্বীকার করে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
শনিবার হাওড়া থেকে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে NRS হাসপাতালে আসেন এক তরুণী। কিন্তু তিনি করোনার রেড জোন হাওড়া থেকে এসেছেন শুনেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ, অনেক অনুনয় বিনয়েও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। জানানো হয়, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সংক্রমণ ছাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তরুণীর অভিযোগ, তাঁর করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলে জানালেও তাঁকে ভর্তি নিতে চাননি একদল চিকিৎসক। উলটে নানা কুকথা বলা হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত তরুণীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান স্বজনরা।
এর পর তরুণীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন আত্মীয়রা। এরই মধ্যে প্রসব হয় তাঁর। মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। ঘটনায় হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর পরিবার।
NRS হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ পেয়েছি। শনিবার কারা গাইনকোলজির জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হবে।’ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন রেসিডেন্ট ডাক্তারকে অন্তত ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হতে পারে এই ঘটনার জেরে।