বিমান সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। আর এই অভিযোগে নিউটাউন আকাঙ্খা মোড় থেকে প্রতারণা চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ, মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিমান সংস্থায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে একটি অফিস খুলেছিল এই প্রতারণা চক্রের দল। নিউটাউন আকাঙ্খা মোড়ে ঝাঁ–চকচকে অফিস দেখে কেউ মনে করতে পারবেন না এখানে নিখুঁতভাবে প্রতারণা করা হয়। কারণ এখানে প্রত্যেকদিনই ছেলে–মেয়েরা ভিড় করে থাকতেন। বেকার যুবক–যুবতীরা চাকরির আশায় এখানে আসত। তবে চাকরি এখনও পর্যন্ত কেউ পাননি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইকো পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে খোঁজ মেলে ভুয়ো ব্যবসার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিমান সংস্থায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রীতিমতো অফিস খুলে প্রতারণা চালাচ্ছিল প্রতারকদের দল। নিউটাউন আকাঙ্ক্ষা মোড়ের কাছে সাজানো অফিস আকর্ষণ করত বেকার ছেলেমেয়েদের। আর সেখানে পা দিলেই প্রতারণা করা হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। সেখান থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরির আবেদন করা যুবক–যুবতীদের টার্গেট করা হতো। তাদের ফোন করে ভাল সংস্থায় চাকরির প্রলোভন দিয়ে মোটা টাকা নিয়ে প্রতারণা করা হতো।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাইভেট টিউশন’ করতে পারবেন না, জারি চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও এই চক্র প্রতারণা করে চলছিল। তাই একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। মূলত প্রশিক্ষণের কথা বলে টাকা হাতানো হতো। ভাল সংস্থায় প্লেসমেন্টের সুযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতানো হলেও চাকরি দেওয়া হয়নি কাউকে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত সেটা তদন্ত করে দেখছে ইকোপার্ক থানার পুলিশ।
এই প্রতারণার পিছনে আরও বড় মাথা আছে বলে মনে করছে পুলিশ। দফায় দফায় এই পাঁচজনকে জেরা করা হয়েছে। এদেরকে ঢাল করেই মূল মাস্টারমাইন্ডের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। অনেক দিন ধরেই এই প্রতারণার কাজ করছিল তারা। বেকারদের থেকে টাকা হাতিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত তারা বলে অভিযোগ। তেমন তথ্যই পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই অফিস থেকেই প্রতারণার কাজ চালানো হচ্ছে। যে অভিযোগ হাতে এসেছিল সেটার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতি মিলে যেতেই পুলিশ অভিযান চালায়। অফিসে পুলিশ ঢুকে যখন নানা তথ্য জিজ্ঞাসা করে তখন অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকে তারা। তারপরই হয় গ্রেফতার।