গত শুক্রবার নিউটাউনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ। তার পর ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ওই দিন নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই রিক্সাচালক জগৎপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ই–রিক্সায় নাবালিকাকে বসায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে। কিন্তু তা না করে ধর্ষণ করে তাকে। রবিবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত টোটোচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে সে এবং তার পর তাকে খুন করে দেহ ফেলে দেয় জঙ্গলে।
এদিকে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফুটেজে নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার ছবি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রিক্সাচালকের নাম সৌমিত্র রায় ওরফে রাজ। সে নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা। নিউটাউন আদর্শপল্লি এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকে। নিউটাউন সিটি স্কোয়ার ব্রিজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত রিক্সাচালক নাবালিকাকে নিয়ে যাচ্ছিল। তারপর অভিযুক্তকে শনাক্ত করে শনিবার রাতে নিউটাউন পুলিশ ক্যাম্প এলাকা থেকে সৌমিত্রকে আটক করা হয়। পুলিশ দফায় দফায় জেরা করতে শুরু করে। তাতেই নানা অসঙ্গতি ধরা পরে। তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘আসি–যাই ভাতা পাই’ সংস্কৃতিতে বদল আনছে তৃণমূল, তালিকা প্রস্তুত পরিষদীয় দলের
অন্যদিকে ওই রিক্সাচালক পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ধৃত টোটো চালকের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা বেশিরভাগই পুলিশের জেরা স্বীকার করেছে সে। ওই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেও রিপোর্ট চলে এসেছে। তাতে খুন ও ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা আছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যা আদালতে পেশ করা হবে। কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। এই নির্মম অত্যাচার সে সহ্য করতে পারেনি। এবার দু’দিন রিক্সাচালকের খোঁজে তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
এছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে আর অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঝামেলার জেরে বাড়ি ছেড়েছিল নির্যাতিতা। কিন্তু এমন নির্মম পরিণতি হবে সেটা সে ভাবতেও পারেনি। ময়নাতদন্তে উঠে আসে মৃতার আঘাত রয়েছে যৌনাঙ্গে। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নাবালিকার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসতেই তৈরি হয় উত্তেজনার পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহের গাড়ি আটকে করে বিক্ষোভ। পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।