ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি আছে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই সওয়াল করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেইসঙ্গে রিপোর্ট নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জুলাইয়ের আগে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে।
ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি আছে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই সওয়াল করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেইসঙ্গে রিপোর্ট নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জুলাইয়ের আগে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে।|#+|
বৃহস্পতিবার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, 'জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্বাধীনতা নিয়ে কমিশনের উপদেশগুলি হাস্যকর।' সেইসঙ্গে কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানান সিঙ্ঘভি। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময়ের আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। ২৬ জুলাইয়ের আগে যে কোনও হলফনামা জমা দেওয়ার শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আবার ২৮ জুলাই সকাল ১১ টায় শুনানি হবে।’
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যে ‘হিংসা’ ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে কমিশনের রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে শাসক দল তৃণমূলের সমালোচনা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের যা অবস্থা, তাতে আইনের শাসনের পরিবর্তে শাসকের আইন চলছে।’ দাবি করা হয়েছে, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে হিংসার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে। মানুষকে ভিটেছাড়া হতে হয়েছে। এই ধরনের হিংসার ঘটনায় অবিলম্বে লাগাম টানতে হবে। সেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভারতীয় গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বেজে যাবে। হিংসা ছড়িয়ে পড়বে অন্য রাজ্যেও। সেইসঙ্গে রিপোর্টে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হয়। পরামর্শ দেওয়া হয়, আদালতের পর্যবেক্ষণ তদন্ত করা হোক। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে দ্রুত মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতেও কমিশনের আইনজীবী সুবীর স্যানাল দাবি করেন, রাজ্য সরকারের কোনওরকম হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি করে কমিশনের আইনজীবীকে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে, তা নিয়ে আপনাদের বলতে হবে। সেটা নিয়ে সওয়াল করবে পিটিশনরা এবং রাজ্য। আপনারা এখানে মামলার পক্ষ নন।’