পশ্চিমবঙ্গে প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস (নাইসেড)।
সংস্থার ডিরেক্টর শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের প্রথম ভাগে বাংলায় কোভ্যাক্সিন পরীক্ষা শুরু হবে। ভারতের ২৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৫,৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এই পরীক্ষা চালাচ্ছে আইসিএমআর। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে নাইসেড কোভিড টিকা পরীক্ষা করবে।
নাইসেড ডিরেক্টর জানিয়েছেন, একদল স্বেচ্ছাসেবককে কোভিড টিকা দেওয়া হবে। অন্য দলকে ভ্যাক্সিনের বদলে অন্য ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। এক বছর পর্যবেক্ষণের শেষে দুই দল স্বেচ্ছাসেবকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে। এর মধ্যে ফোনে স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে খোঁজ নেবে নাইসেড।
এখনও পর্যন্ত কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র পাওয়ার বিষয়ে সবার উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে এমন নয়টি কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনটি করে কেন্দ্র মিলেছে উত্তর প্রদেশ ও তামিল নাডুতে। ২টি করে পরীক্ষা কেন্দ্রের বরাত পেয়েছে দিল্লি, বিহার, কর্নাটক ও অন্ধ্র প্রদেশ। সাম্প্রতিক অনুমোদনের পরে ওড়িশা, তেলাঙ্গনা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান ও হরিয়ানার সঙ্গে একসারিতে বসল বাংলাও।
তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎক ও গবেষকদের দাবি, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন যথাসময়ে পাওয়া গেলে এতদিনে মহারাষ্ট্রের পরেই থাকত পশ্চিমবঙ্গের নাম।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাক্সিন পরীক্ষার অনুমোদন নিয়ে বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে আগেই। আড়াই মাস ধরে ট্রায়ালের সব রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে ট্রপিক্যালও। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি পেলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শুরু করা যাবে বলেও দাবি করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও গবেষকদের একাংশের।