আজ তৃতীয়া। সোমবার থেকেই মানুষের ঢল নামবে রাস্তায় বলে খবর। কিন্তু সারারাত ঠাকুর দেখার যে রেওয়াজ আছে তা এবার আটকানো না গেলে তিন থেকে চার গুণ করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে রাজ্যে। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলেছিলেন, ‘প্রতিমা দর্শন করা যাবে তৃতীয়ার রাত থেকে একাদশী পর্যন্ত। কিন্তু তা বলে কোথাও ভিড় জমানো যাবে না।’ যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, প্রতিটি পুজোমণ্ডপে নো–এন্ট্রি বাফার লাগাতে হবে। একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বড় পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তাই মানুষের রাস্তায় নামার উৎসাহ–উদ্দীপনা প্রবল আকার নিয়েছে। আর পুজোর বাজার করতে যে ঢল মানুষের নেমেছিল তারপর থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। একদিনে প্রায় চার হাজার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাজ্যে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ভিড়ের ছবি।
কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন, মানুষের ভিড় যদি পুজোতে ঠেকানো না যায় তাহলে রাজ্যে করোনা সুনামি দেখা যাবে। কেরলের ওনাম উৎসব তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এই বিষয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, ‘ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মণ্ডপে প্রবেশের সময়। আর স্যানিটাইজার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করার জন্য।’