প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই প্রথমবার বিধানসভায় পা রাখলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া। শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম দিন সিঁড়িতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে বিধানসভায় ঢুকলেন নির্মল। মনে করিয়ে দিলেন, ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার সংসদ ভবনে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন ঠিক এইভাবেই সিঁড়িতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করেছিলেন তিনি।
এবারে বাঁকুড়ার ইন্দাস কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধাড়া। হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ১৭০০ টাকা। বিজেপি প্রার্থী তালিকায় দরিদ্র বিধায়ক হিসাবে একজন হলেন নির্মল। সেইসঙ্গে আরেক জন বিধায়ক এই বাঁকুড়া থেকেই নজর কেড়েছিলেন। তিনি বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তবে এদিন যেভাবে তিনি বিধানসভায় ঢোকার আগে সিঁড়িতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলেন, তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত সেই পুরনো স্মৃতিকেই উস্কে দিল। কোনওদিন বিধানসভায় তিনি আসতে পারবেন, সেটাই ভাবতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বিধানসভায় পা রাখতে পারায় তিনি যে উচ্ছ্বসিত, সেই অভিব্যক্তি এদিন প্রকাশ পেল নির্মলবাবুর কাজে।
জীবনের প্রথম দিন থেকেই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে নির্মলকে। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছিলেন তিনি। ইংরেজিতে উচ্চশিক্ষিত হলেও বাংলা, ইতিহাস, ভূগোলও পড়ান ছাত্রছাত্রীদের। তাঁর সুন্দর ব্যবহারের জন্য বিধায়ক হয়ে গেলেও কোনও ছাত্রছাত্রী তাঁকে ছাড়তে চান না। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা ৭৫ জন। ৭৭ জন নির্বাচনে জিতে এলেও এদের মধ্যে ২ জন তাঁদের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।