একের পর এক অভিযোগের মুখে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসৃত হলেন নির্মল মাজি। বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকা জারি করে চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে এই দায়িত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। একই সঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সেলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্মল মাজিকে। এই নিয়ে নির্মলবাবুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল সূত্রের খবর, লাগাতার অভিযোগে জেরবার হয়ে এই পদক্ষেপ করেছে দল।
নির্মল মাজির বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সরকারি হাসপাতালে মানুষের ডায়ালিসিস করার যন্ত্রে কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর পর ছেলের MBBS পরীক্ষায় সিসিটিভি বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন তিনি। সম্প্রতি একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে। করোনা মহামারী চলাকালীন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে বহুমূল্য ওষুধ সরানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক নবীন চিকিৎসকের শাস্তি হলেও নির্মল মাজি পার পেয়ে যান। এর পরেও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তিনি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওষুধ নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি তাঁর রেফার করা এক রোগীকে ভর্তি নিতে দেরি হওয়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের হুমকি ও গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। সেই রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এর পরই এদিন তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে। তৃণমূলের চিকিৎসক সেলের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।