বৃহস্পতিবারই তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করেছে সরকার। তার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর উলুবেড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি দাবি করলেন, তাঁকে জানিয়েই হয়েছে অপসারণ। এমনকী নেত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একের পর এক খণ্ডন করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্মল মাজিকে বিদায় করে সুদীপ্ত রায়কে মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছে সরকার। তারপর থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন শাসকদলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ চিকিৎসকনেতা। রোগীকল্যাণ সমিতির পদ থেকে সরানোর সঙ্গে তাঁকে তৃণমূলের চিকিৎসক সেলের দায়িত্ব থেকেও অপসারণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্মল মাজির বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ উঠছিল তাতে পচা শামুখে পা কাটার আশঙ্কা করছিল তৃণমূল।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্মল বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক। মানুষের সেবার দীক্ষায় দীক্ষিত। আমাকে ১১ বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমি মানুষের জন্য যথাসম্ভব কাজ করেছি। আমাকে জানিয়েই ওই পদ থেকে সরানো হয়েছে। দিদির ওপর আমার ভরসা রয়েছে। নিশ্চই তিনি আমাকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেবেন।’
সঙ্গে নির্মলবাবুর দাবি, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। মেডিক্যাল কলেজে ওষুধ সরানো যে অভিযোগ উঠেছে তখন আমি রোগীকল্যাণ সমিতির দায়িত্বে ছিলাম না। SSKM-এ কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর যে অভিযোগ উঠেছিল তাও ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। যারা এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল তাদের সবার শাস্তি হয়েছে।’
প্রশ্ন উঠছে, তাঁকে জানিয়েই যদি অপসারণ করা হয়ে থাকে তাহলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গুম মেরে কেন বসেছিলেন নির্মল মাজি?