এবার ডিউটিকালীন অবস্থায় মদ খাওয়া নিয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্য পুলিশের এডিজি মনোজ ভার্মা এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। মত্ত অবস্থায় পুলিশ ডিউটি করছে এমন নানা নজির রয়েছে। এনিয়ে একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সামনে আবার শীতকাল আসছে। মদ খাওয়ার হিড়িক পড়ে যেতে পারে। তবে তার আগেই সতর্ক করে দিল রাজ্য পুলিশ।
শুধু পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররাই নন, হোমগার্ড, এনভিএফ এমনকী পুলিশের গাড়ির চালকরাও যাতে ডিউটিতে থাকার সময় মত্ত অবস্থায় না থাকেন সেটা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এমনকী জিআরপির ক্ষেত্রেও এই একই নির্দেশ কার্যকরী করা হবে। কোনওভাবেই ডিউটি থাকার সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকা চলবে না। কড়া নির্দেশ।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। সেই সঞ্জয় রায় যে রাতে আরজি করে প্রবেশ করেছিল বলে খবর, সেই রাতে সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে খবর।
তবে এবার কোনও পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার সহ পুলিশের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরা মদ্যপ অবস্থায় ডিউটিতে এলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একেবারে নিয়ম অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে কোথাও কোনও ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে না। ধরা পড়লেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, একাধিক ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীদের ডিউটিতে থাকাকালীন মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে অন্তত ২১জনকে খারাপ ব্যবহার, মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করা সহ একাধিক কারণ কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার একেবারে নির্দেশিকা জারি করে মদ্যপ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হল।
ইউনিফর্মের সঙ্গে গোটা ফোর্সের সম্মান নির্ভর করে। সিভিলিয়ানদের সঙ্গে ফোর্সের সদস্যদের কিছুটা ফারাক থাকে। তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়। নিয়ম মানতে হয়। কিন্তু ডিউটিরত অবস্থায় মদ্যপ অবস্থায় থাকলে অনেক সময়ই পুলিশের ইমেজে কালো দাগ পড়ে। জনমানসে পুলিশ সম্পর্কে একটা বাজে ধারনা তৈরি হয়। এবার সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাইছে রাজ্য পুলিশ। সেকারণেই এবার কঠোরতম শাস্তির কথা উল্লেখ করা হল।
ডিউটিতে থাকার সময় মদ খাওয়া যাবে না। ডিউটি থাকার সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকলে ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় কিংবা বাইরে যেকোনও জায়গায় ডিউটিতে মদ্যপ অবস্থায় থাকা যাবে না।