আইপিএলে কলকাতার দলে নেই বাঙালার কোনও ক্রিকেটার। ‘বাঙালি ক্রিকেটারদের বঞ্চনার’ অভিযোগ তুলে তাই রাস্তায় নামল বাংলা পক্ষ। এদিন ইডেনের সামনে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিল বাংলা পক্ষ। তবে আজকে ইডেনে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ। করোনা কাঁটা দূরে সরিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটের নন্দনকাননে ফিরবেন দর্শকরা। এই আবহে ইডেন ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা। এই পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষের সদস্যদের তাঁদের কর্মসূচি পালন করতে দিল না পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে গিয়ে আটক করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে শুধু আইপিএলে কেকেআর নয়, বাংলার রঞ্জি দল ও ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বাংলা পক্ষ। তাদের প্রশ্ন, ‘ঋদ্ধিমান সাহা উপেক্ষিত কেন? বাঙালি বলে? বাংলার রঞ্জি টিমে বাঙালি ক্রিকেটাররা চান্স পাচ্ছে না কেন? KKR-এ একজনও বাঙালি প্লেয়ার নেয়নি কেন?’ বিসিসিআই, শাহরুখ খানকে বাংলা ছাড়তে বলে প্ল্যাকার্ড দেখান বাংলা পক্ষের সদস্যরা। এই আবহে আটক করা হয় বাংলা পক্ষের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, সোয়েব আমিন এবং বাংলা ক্রীড়া পক্ষর প্রধান জয়দীপ দে-সহ আরও অনেককে আটক করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, আইপিএলের মেগা নিলামে বাংলার কোনও ক্রিকেটারকেই দলে নেয়নি কেকেআর। দলে একমাত্র বাঙালি অনুকুল রায়। তবে বিহারে জন্ম নেওয়া অনুকুল বাঙালি মানতে নারাজ অনেকেই। তাছাড়া দলে বাংলার ঋদ্ধিমান সাহাকে নেওয়ার ‘সুযোগ’ থাকলেও কেকেআর উইকেটরক্ষক হিসেবে নেয় ইংলিশ ক্রিকেটার স্যাম বিলিংসকে। তাছাড়া দলে উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন ৩৫ বছর বয়সী শেলডন জ্যাকসন। এদিকে কেকেআর না নিলেও বাংলার ক্রিকেটাররা আইপিএলের দলে জায়গা করে নিয়েছে। কেকেআর বাংলার মহম্মদ শামি ও শাহবাজ আহমেদের জন্য অবশ্য দর হেঁকেছিল। তবে তাদের দলে নিতে পারেনি। শামিকে শেষমেশ গুজরাট ও শাহবাজকে আরসিবি দলে নেয়। তাছাড়া ইশান পোড়েল, ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে কেনে পঞ্জাব কিংস। শাহবাজ আহমেদ, আকাশ দীপকে কেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ঋদ্ধিমান সাহাকে শেষ বেলা দলে নেয় গুজরাট টাইটানস।