শেষ মুহূর্তে চেষ্টাতেও জোগাড় করা গেল না অনুমতি। ফলে শুক্র ও শনিবার কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে হচ্ছে না ছটপুজো। এর পরই এদিন কলকাতার বিভিন্ন হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এলাকায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করতে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ছটপুজোর আগের দিন শেষ চেষ্টা হিসাবে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে KMDA. ওদিকে সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গ্রিন বেঞ্চের আবেদন খারিজ করে এবছরের জন্য ছটপুজো করতে দেওয়ার আবেদন করেন KMDA-র আইনজীবী। কিন্তু ২টি আবেদনই খারিজ করে দেয় আদালত। এর পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, ছট পুজো হচ্ছে না দুই সরোবরে।
আদালতের রায়ের পরই বিকল্প ব্যবস্থা করতে তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনের। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার যথাসাধ্য চেষ্টা হবে।’ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সুভাষ সরোবরের অরক্ষিত এলাকা বাঁশ ও টিনের চাদর দিয়ে ঘেরা শুরু করে কলকাতা পুরসভা। ওদিকে সুভাষ সরোবর লাগোয়া পুনিয়াপাড়ায় শুরু হয় কৃত্রিম জলাশয় তৈরির কাজ। ১৫ ফুট লম্বা, ৫ ফুট টওড়া ও দেড় ফুট গভীর এই জলাশয়গুলিতেই কাল ও পরশু হবে ছটপুজো। পুনিয়াপাড়ায় মোট ৬টি কৃত্রিম জলাশয় বানানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।
ওদিকে আজ রাত থেকে শনিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত সুভাষ সরোবর বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে পার্কের গেটে বিজ্ঞপ্তিও টাঙানো হয়েছে।
আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, সরোবরে ছট পুজো যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশের।
এই নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, ‘এরাজ্যে হিন্দিভাষী মানুষ বছরের পর বছর ছট পুজো করছেন। তা নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যাথাও ছিল না। ভোট আসায় হঠাৎ করে তারা সুপ্রিম কোর্টে ছুটেছে।’