তিনি নিজেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুগামী বলে ঘোষণা করেছেন। নেতাজি আজীবন বাক্স্বাধীনতার পক্ষে সাওয়াল করেছেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রবিবার এক অনুষ্ঠানে ফের মনে করিয়ে দিলেন, বাকস্বাধীনতার সঙ্গে কোনও আপস করা উচিত নয়। এমন একটি সময় রাজ্যপাল তাঁর এই মত জানিয়েছেন, যখন দেশ জুড়ে রাহুল গান্ধীকে সাংসদ পদ থেকে অপসারণ নিয়ে বিতর্ক চলছে। চর্চা চলছে বাক্স্বাধীনতার কী ও কেন, তা নিয়ে।
প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের রাজ্যপাল বোস বলেন, 'ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাক স্বাধীনতার সঙ্গে কোনও আপস করা উচিত নয়।' যদিও তাঁর বক্তব্যে রাহুল গান্ধীর অপসারণ প্রসঙ্গ উঠে আসেনি। এই নিয়ে রাজনৈতিক প্রশ্ন করার সময়ই প্রেস ক্লাব থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল বোস। তবে যে আবহে তিনি এই মন্তব্য করেছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
(পড়তে পারেন। গঙ্গা দূষণ রোধে মাস্টার প্ল্যানের পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে KMDA )
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় একটি জনসভায় রাহুল গান্ধীর করা মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাটের একটি আদালতে মানহানির মামলা করেন এক বিজেপি নেতা। সেই মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দোষীসাব্যস্ত করে দু'বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। তার জেরে বাতিল হয়েছে রাহুলের সাংসদপদ। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধীদল একজোট হয়ে কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়িয়েছে। নুতন করে আলোচনায় উঠে এসেছে বাক্স্বাধীনতার বিষয়টি।