বাম আমলে বহু জমি কম দামে লিজ দেওয়া হয়েছিল। অফিস তৈরি, কারখানা তৈরি অথবা বাড়ি বানানোর জন্য এই সমস্ত জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সরকারের কাছ থেকে জমি পাওয়ার পর অনেকেই সেই জমি বছরের পর বছর ধরে ফেলে রেখেছেন। কিছুই তৈরি করা হয়নি এই সমস্ত জমিতে। শুধু তাই নয়, অনেকেই আবার বেআইনিভাবে এই সমস্ত জমির হাত বদল করেছেন। এবার যারা এই সমস্ত জমি বছরের পর বছর ফেলে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন। রাজ্য সরকার এই সমস্ত জমি নিয়ে নিলামে তুলতে চায়ছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিটি দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: লিজ জমির মালিকানা পেতে পারবেন সল্টলেক-কল্যাণীবাসীরা, এর জন্য দিতে হবে কত?
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে ইএম বাইপাস, পাটুলি, কসবা প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর মানুষকে জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। সবমিলিয়ে জমির পরিমাণ কয়েক হাজার একর। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে অনেকে জমি লিজ নেওয়ার পর বসতি বাড়ি বা কলকারখানা কিছুই করেননি, উল্টে সেই সমস্ত জমি অন্যকে ভাড়া দিয়ে আয় করছেন। আবার অনেকেই পুরসভা থেকে বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য অনুমতি নিলেও কোনও ধরনের নির্মাণ নির্মাণকাজ শুরু করেননি। অথচ এই নিয়ে সরকারের কাছে আগে কোনও তথ্যই ছিল না। এই সমস্ত জমিগুলিকে এবার শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট মালিকদের নোটিশ ধরাচ্ছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এক আধিকারিক জানান, নিয়ম অনুযায়ী, জমি নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ করতে হবে। তাই নিয়ম মেনেই রাজ্য সরকার এই জমিগুলি নিলামে তুলতে চায়ছে।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র ইএম বসিপাসেই কয়েক হাজার জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে এই সমস্ত এলাকায় জমির বাজার মূল্য যা রয়েছে তাতে সেগুলি পুনরুদ্ধার করলে সরকারের কোষাগারে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা হবে। তাই সরকার এই জমিগুলি নিজেদের কাছে ফেরাতে চায়ছে। জানা গিয়েছে, সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়ে ফেলে রেখেছিল একটি সংস্থা। সেই সংস্থাকেও নোটিশ পাঠিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি কসবা এবং বৈষ্ণবঘাটা পাটুলিতেও বহু ব্যক্তিকে একই নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জমি দখল, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নবান্নের তরফে এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।