মহাষ্টমী এগিয়ে গিয়েছে মহানবমীর দিকে। অনশন মঞ্চে আজও অভুক্ত অবস্থায় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। কিন্তু মনের অদম্য জেদ। মনের জোর আজও অটুট। সেই অবস্থায় মহাঅষ্টমীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
শুক্রবার রাত যত বেড়েছে ততই দেখা যায় ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চের সামনের অংশ একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ। বহু সাধারণ মানুষ এদিন রাতে চলে আসেন ধর্মতলায়। এমনকী ঠাকুর দেখা সংক্ষিপ্ত করে চলে আসেন ধর্মতলায়। চলল স্লোগান উই ওয়ান্ট জাস্টিস। তার মাঝেই খবর আসে যে যে প্রতিবাদকারীরা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন তাদের জামিন দিয়েছে আদালত। এই খবর সামনে আসার পরেই জুনিয়র ডাক্তার তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে খুশি ছড়়িয়ে পড়ে।
এদিকে রাতে দেখা যায় মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে কাতারে কাতারে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। বহু সাধারণ মানুষ বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা দিনের পর দিন ধরে না খেয়ে রয়েছেন। এটা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এসবের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, রবিবার বাড়িতে বাড়িতে একবেলা অরন্ধন কর্মসূচি পালন করতে পারেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবে ঘরে ঘরে পালিত হোক এই অরন্ধন কর্মসূচি।
বহু মানুষ এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দিনের পর দিন ধরে না খেয়ে রয়েছেন। আর আমরা একদিন না খেয়ে থাকতে পারব না। আমরা অরন্ধন কর্মসূচি পালন করব।
বহু মানুষ এদিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে সোজা ধর্মতলায় চলে আসেন। কারোর পরনে নতুন জামা, কেউ পরেছেন নতুন শাড়ি। বহু মানুষ এদিন ধর্মতলায় এসে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দুহাত ভরে আশীর্বাদ জানিয়ে যান।
অন্যদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের এবার চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্য়সচিব। রাজ্য সরকারের কাছে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টও জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে। মুখ্যসচিব চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বলে খবর। তবে এবার জুনিয়র ডাক্তাররা আদৌ সরকারের সেই অনুরোধে সাড়া দেন কি না সেটাও দেখার।
সূ্ত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কী ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা জানাতে হবে। এরপরই মুখ্যসচিবের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে কী ধরনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা জানানো হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের এই চিঠিতে একেবারেই সন্তুষ্ট নন জুনিয়র ডাক্তাররা।