কলকাতায় এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। তার মধ্যেই কোনও বিধি এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে চলল দেদার সিঁদুরখেলা। টিকার দুটি ডোজ এবং কোভিড–১৯ বিধি মানতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা শহর থেকে জেলা কোথাও মানতে দেখা যায়নি। ৬ মাস আগেও যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা মুহূর্তে ভুলে উৎসবে মানুষ পুজোমণ্ডপে ভিড় করেছিলেন। যা আতঙ্ক তৈরি করেছিল। তারপর বেড়েছিল করোনাভাইরাস। কিন্তু এতকিছুর পরও বিধি মানার তাগিদ দেখা যায়নি।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যতটা কম মহিলাকে নিয়ে সিঁদুর খেলতে হবে। অথচ দেখা গেল, সিঁদুরখেলায় লোকসংখ্যার কোনও সীমা মানা হয়নি। এমনকী মাস্ক পরার তাগিদও কেউ অনুভব করেননি। পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেলতে মহিলার ভিড় উপচে পড়ে। দূরত্ব-বিধি শিকেয় ওঠে। অনেক জায়গাতেই দুটি টিকার ডোজের শংসাপত্র দেখার লোক ছিল না বলে অভিযোগ।
একই ছবি দেখা গিয়েছে বিসর্জনেও। বিধি ভাঙতে অনেককেই দেখা গিয়েছে। বহু জায়গায় ভিড় করেই বিসর্জন হয়েছে। দেদার ফেটেছে শব্দবাজিও। টাকিতে দু’দেশের প্রতিমা বিসর্জনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। উধাও হয়ে যায় করোনা বিধি। ফলে জেলায় জেলায় করোনাভাইরাস বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর শেষলগ্নে করোনাভাইরাস ডবল সেঞ্চুরি করেছিল। তারপরও একের পর এক বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরোতে দেখা যায়। শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মালদহ, কোচবিহারে এমন ঘটনাই চোখে পড়ে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, শান্তিপুর, ফুলিয়া, রানাঘাট, করিমপুর সর্বত্রই মানুষজনের মুখে ছিল না মাস্ক। অথচ শান্তিপুরে উপনির্বাচন আসন্ন। কলকাতায় সব ঘাটেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ২৪টি ঘাটে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা নৌকা নিয়ে টহল দিয়েছেন। তাই বিসর্জনের ক্ষেত্রে ছবিটা একটু আলাদা ধরা পড়ে।