ব্রাত্য বসুর আমলে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠেনি। তাঁর আমলে ৯৯ শতাংশ কাজই ঠিকভাবে হয়েছে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার কুণাল দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে, তার কোনওটাই নয়া শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের আমলে হয়নি। বরং ব্রাত্য যতদিন শিক্ষামন্ত্রী আছেন, ততদিন ৯৯ শতাংশ কাজই ঠিকভাবে হয়। কখনও কোনও অভিযোগ উঠলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করে থাকেন। শিক্ষকদের যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিটি গঠন করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম খামতি রাখেন না। তারপরও যদি কিছু থাকে, সেটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক বিষয়। তা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর জানা নেই। সেটা তাঁর জানার কথাও নয়। কুণাল বলেন, 'এই ধরনের ঘটনা ব্রাত্য বসুর জমানায় হয়নি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারবেন।'
এমনিতে তৃণমূল জমানায় একাধিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনশন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলন করেছেন। মামলা করেছেন আদালতে। সম্প্রতি তো স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েছেন। মামলায় পার্থের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যের নামও উঠে এসেছে। তারইমধ্যে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার।