মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সূত্রের খবর, এদিন তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সাড়ে ৪ বছরের মন্ত্রিত্বে একটিও ফাইল আসেনি তাঁর কাছে। মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা। কোনও কাজ করতে গেলেও তাতে দেওয়া হয়েছে বাধা।
লক্ষ্মীরতনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগ করেছেন, সাড়ে ৪ বছর তিনি রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এতটা সময় তাঁর কাছে কোনও ফাইলও আসেনি।
প্রায় ৬ মাস আগে লক্ষ্মীরতনকে হাওড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। কিন্তু তাঁর দাবি, জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা হলে জেলার দলীয় সংগঠনে পরিবর্তন করা হয়। সেই কথা মাথায় রেখে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার চারদিনের মধ্যে মন্ত্রী অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে নতুন তালিকা তৈরি করে সেটা দলের নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত একটা ব্লকের সভাপতি পর্যন্ত বদলা করা হয়নি। এবং জেলা স্তরে নতুন করে কোনও কমিটিও তৈরি করা হয়নি। এভাবেই তিনি এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে এদিন এ কথাও জানিয়েছেন যে এখনই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন না। তাঁর এই পদের মেয়াদ আরও ৪ মাসের মতো রয়েছে। এই পুরো সময়টা তিনি বিধায়ক হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান। এবার থেকে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ ও ক্রিকেট প্রশাসনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় দিতে চান লক্ষ্মীরতন শুক্লা।
এদিকে, এদিন হাওড়া শহর তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে ভাস্কর ভট্টাচার্যকে। এতদিন এই পদে ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। মঙ্গলবার সেই পদ ছাড়তেই সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হল ভাস্কর ভট্টাচার্যকে।