বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে তবেই উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। নদিয়া তেহট্টের হকারদের করা এক মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তেহট্টের বাজার এলাকায় সরকারি জমির উপর ব্যবসা করা ৩২ জন হকারকে উচ্ছেদের নোটিশ দেন মহাকুমাশাসক। সেই নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। হাইকোর্টে নির্দেশ বিকল্প ব্যবস্থা করেই তবে ওই এলাকা থেকে হকারদের সরানো যাবে।
গত ৩ মে জমি খালি করে দেওয়ার নোটিশ দেন তেহট্টের মহাকুমাশাসক। প্রশাসনের অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে তেহট্টের বাজার এলাকায় দোকান চালাচ্ছেন হকাররা। তাই প্রশাসনের তরফে সরে যাওরা জন্য নোটিশ দেওয়া হয় হকারদের। এই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন এলাকার ৩২ জন হকার।
আইনজীবীর যুক্তি
আদালতে হকারদের আইনজীবী বলেন, 'ওই এলাকায় ২৬ বছর ধরে ব্যবসা করছেন হকাররা। অনুমতি নিয়েই তাঁরা ব্যবসা করছেন। এত দিন পর জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিলে তাঁরা বেকার হয়ে পড়বেন। অথৈ জলের পড়বে হকারদের পরিবারও।' শুনানিতে আইনজীবী আরও বলেন, আইননত এই ভাবে বিকল্প ব্যবস্থা না করে জমি খালি করে দেওয়ার নোটিশ দেওয়া যায় না।
(পড়তে পারেন। তিন কোটির বেশি বকেয়া বিনোদন কর, নাইট রাইডার্সের জবাব চাইল কলকাতা পুরসভা)
বিচারপতির নির্দেশ
সব শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ওই হকারদের বিকল্প জায়গায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। আপাতত ছয় সপ্তাহ হকারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না প্রশাসন। তাঁদের অন্যত্র দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরই উচ্ছেদ শুরু করা যাবে। এ নিয়ে প্রশাসনের হলফনামা চান বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে হলফনামা দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জুন।
(পড়তে পারেন। প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল, কোথায় ও কীভাবে রেজাল্ট দেখা যাবে? রইল সেই লিঙ্ক)