শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসি। আবার রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কাল বাংলাকে স্তব্ধ করতে হবে। তবে সেই সব রাজনৈতিক কর্মসূচি রুখতে এবার কঠোর অবস্থান নিল সরকার। নবান্নের তরফে এনিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে শুক্রবার রাজ্যে সমস্ত সরকারি কর্মীদের কাজে যোগ দিতেই হবে। সমস্ত সরকারি ও আধা সরকারি অফিসের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ আরোপ করা হচ্ছে। এমনকী কোনও সরকারি কর্মী যদি মনে করেন বনধের ছুটি কাটাতে সিএল নিয়ে নেবেন সেটাও পারবেন না। এদিকে বনধ ঘোষণা হওয়ার পরেই অনেকে ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। এরপর শুক্রবার বনধের ছুটি, এরপর শনিবার আর রবিবার এমনিতে ছুটি। কিন্তু বলা হয়েছে যাঁরা বুধবার ছুটিতে ছিলেন তাদেরও শুক্রবার ছুটি নেওয়া যাবে না।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। কোনও কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা পরিবারে কোনও শোকের ব্যাপার থাকে তবে তিনি না এলেও চলবে। ১৪ তারিখের আগে থেকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য যারা ছুটিতে রয়েছেন তাদের ছাড় রয়েছে। সেই সঙ্গেই ১৪ অগ্স্টের আগে যাদের চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ বা আর্নড লিভের অনুমোদন আগে থেকেই রয়েছে তারা না এলেও চলবে। কিন্তু বাকিদের আসতেই হবে।
নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা যদি শুক্রবার অফিসে না আসেন তবে বেতন কাটা যাবে। এমনকী শুক্রবার অফিসে না আসার পেছনে উপযুক্ত কারণ না থাকলে শোকজ করা হবে। এই শোকজের জবাব যারা দেবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ জারি করা হবে।
এদিকে অন্যান্যবার এই ধরনের বনধের দিন আগে রাতে অফিসে চলে আসতেন কর্মীরা। কিন্তু এবার তারও সুযোগ নেই। কারণ আচমকা বনধ আর নবান্নের নোটিশের জেরে হতবাক সরকারি কর্মীরা। কী করবেন তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
এদিকে এসইউসিআই নেতৃত্ব জানিয়েছে, আগামীকাল ১৬ অগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা জনসাধারণের কাছে অনুরোধ করছি রাজ্য়ের সমস্ত জনসাধারণ ১২ ঘণ্টা সাধারণ ধর্মঘট পালন করুন। সমস্ত ক্লাব সহ যত রকমের সংগঠন রয়েছে সমস্ত মানুষের কাছে অনুরোধ করছি প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ ধর্মঘটের আয়োজন করা হয়েছে। আরজিকরে মাঝরাতে যেভাবে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল তারই প্রতিবাদে এই ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীও এই বনধকে সমর্থনের ডাক দিয়েছেন।