আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিতে পারবেন রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। এই নিয়ে বিবৃতি দেবেন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপায়ান্তর না দেখে মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডের একমাস পর এখনও ধৃত সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত! কীভাবে এগিয়েছে CBI?
পড়তে থাকুন - 'টাকার কথা বলিনি' মিথ্যেবাদী মুখ্য়মন্ত্রী, মমতার ভিডিয়োতে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু
জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবাইকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ইস্যুতে মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য বা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক আর কোনও বিবৃতি দিতে পারবেন না। বিবৃতি দেবেন শুধু মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনায় ওনার যা অবস্থান কে তাকে সমর্থন করবে? কেউ ওনার হয়ে আর মুখ খুলতে চাইছে না। সম্ভবত পুলিশ আধিকারিকরাও ওনাকে জানিয়ে দিয়েছেন আর নয়। তাই এবার যা বলার ওনাকেই বলতে হবে। আর সোমবার মুখ খুলে উনি যা বলেছেন তা তো আমরা শুনেছি। উনি বলেছেন, ১ মাস ধরে বিক্ষোভ চলেছে। আমরা কিছু বলিনি। এবার শোক ভুলে উৎসবে ফিরুন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কী করে এত অংবেদনশীল হতে পারেন? উনি যত এসব বলবেন তত জনরোষ বাড়বে।’
আরও পড়ুন - রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গত ১ মাস ধরে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। এই ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফা ঘোষণা করেছেন জহর সরকার। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে পর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলেছেন রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।