ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছে। এখন রাত কাটে প্রেসিডেন্সি জেলের কুঠুরিতে। খুব অসুবিধা হচ্ছে থাকতে। খাবার কষ্ট, থাকার কষ্ট থেকে শোবার কষ্ট—সবই আছে। সঙ্গে জুটেছে অন্যান্য বন্দির কটূক্তি। হ্যাঁ, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ কয়েদি হিসেবেই জেলযাপন করতে হচ্ছে। কোনও অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না তিনি। এখন তিনদিন কাটতে চলল। অথচ এখনও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি কেউ। পরিবার থেকে শুরু করে দলের কেউ দেখা করতে আসেননি। তাই এখন একাকীত্বে ভুগছে পার্থ বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি জেলে? জেল সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম তিনদিনে কেউ দেখা করতে আসেনি। তাই আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল পার্থর গলায়। জেলকর্মীদের কাছে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে না এলে আজ এই দিন দেখতে হতো না আমাকে। কেন যে বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এলাম।’
তাহলে কী দলের উপর ক্ষোভ পার্থের? গ্রেফতার হতেই নানা মন্তব্য করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কখনও বলেছিলেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আবার কখনও বলেছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত ঠিক কিনা, তা সময় বলবে। আবার বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত সঠিক। দলের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ রয়েছে এই প্রশ্ন উঠতেই পার্থ বলেন, ‘দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই।’ এখন অবশ্য দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই দুর্দিনে অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছিল হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী দেবনাথ রায় ওরফে দেবুকে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের এজলাস থেকে লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রণাম করেন দেবু। আর বলেন, ‘পাশে আছি দাদা’। আর পার্থও চোখের জল ফেলে দেবুকে বলেছিলেন, ‘ভালো থাকিস’।