পশ্চিমবঙ্গ সফররত অমিত শাহের মন্তব্যকে খণ্ডন করল তৃণমূল। দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে একযোগে বিজেপি ও অধিকারীদের আক্রমণ করেন কল্যাণ। প্রথমেই তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, ভাইপো না বলে ক্ষমতা থাকলে নাম বলুক বিজেপি। সঙ্গে তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না।
কল্যাণ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে বাংলার মানুষ। তাঁর দীর্ঘ আন্দোলনের জন্য এই পদ পেয়েছেন তিনি।’
একইসঙ্গে পরিবারতন্ত্র ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘কার নির্দেশে আপনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর আপনার ছেলেকে বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি করতে হলো?’ অধিকারীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘ওরা কারা যারা পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কথা বলছেন। অধিকারীতন্ত্রের ব্যাপারে কিছু বলবেন কি অমিত শাহজি?’
এদিন কল্যাণ দাবি করেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামেই লাখে লাখে মানুষ সেখানে ছুটে গিয়েছেন। উনি যদি অত বড় নেতাই হবেন, তাহলে ১৯৯৬ সালে ভোটে হারলেন কেন? ২০০১ সালে হারলেন কেন? ২০০৪ সালে হারলেন কেন’?
কল্যাণের প্রশ্ন, অধিকারী পরিবারতন্ত্রের কি বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে? আজ শুভেন্দু অধিকারী সেই প্রশ্ন তুলে দিলেন।
সঙ্গে ২০২১-এর নির্বাচনের জন্যও শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘২০২১ এর নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই নির্বাচনে লড়ুন। আসন বদলাবেন না। দেখাবো লড়াই কাকে বলে’। কল্যাণ বলেন, নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট। জিতবে কী করে?
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শাহের দল ভাঙানোর অভিযোগ খারিজ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাস জানেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের পর তিনি নতুন দল গঠন করেছিলেন। তিনি কোনও দলে যোগদান করেননি।’ অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে মিথ্যার আবর্জনা ছড়াতে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।