রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অবস্থিত হেরিটেজ ভবনে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় জোড়াসাঁকোর হেরিটেজ ভবনে তৃণমূলের শিক্ষাকর্মী সংগঠনের ইউনিয়ন অফিস খোলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূলের সংগঠন শিক্ষাবন্ধু সমিতি জোড়াসাঁকোর ৬ নম্বর বাড়িতে মহর্ষি ভবনের দক্ষিণের বারান্দায় ইউনিয়ন অফিস করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় সেখানে থাকা রবীন্দ্রনাথের বহু পুরনো ছবিও খুলে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় তৃণমূল নেতৃত্বের ছবি টাঙানো হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে ইউনিয়নের বোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এই নির্মাণকার্য উচিত নয় বলেই কার্যত মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। যদিও শিক্ষাবন্ধু সমিতির দাবি নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়ে সবকিছু হয়েছে। তবে অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে পাল্টা দাবি করেছেন উপাচার্য।
দক্ষিণের এই বারান্দাটি রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত। তারপরও কীভাবে সেখানে রং করে ইউনিয়ন অফিস করা হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও উপাচার্য দাবি করেছেন, তিনি সেখানে ইউনিয়ন অফিস করার কোনও অনুমতি দেননি। টাকার সংস্থানও করেননি। এরকম কাজ হচ্ছে শোনার পরে তিনি প্রশাসনিক নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
শুধু যে বারান্দার নিচের অংশের দালানের এবং দুটি ঘরের রং করা হয়েছে তাই নয়, মেঝের স্তরও পাল্টানো হয়েছে। ইউনিয়নের ঘরটিতে এখন দেওয়াল জুড়ে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এ বিষয়ে শিক্ষাবন্ধু সমিতির রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি সুবোধ দত্ত রায়চৌধুর বলেন, ‘আমরা ইউনিয়নের জন্য বসার জায়গা চেয়েছিলাম। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি নিয়েছিলাম। তার বাইরে কোনও কাজ হয়নি। ঘরটি শুধু পরিষ্কার করা হয়েছে। বাম আমল থেকে এখানে ইউনিয়ন ছিল। এটা নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে।’